বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৩ কলম্বিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বাহুবলে স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণের জন্য জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাহুবলে দুই মাস ধরে নিখোঁজ রবিউলের সন্ধান চায় পরিবার যে কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি দেয় সোহাগ ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেপ্তার পিএসসির প্রশ্নফাঁস: দায় স্বীকার করে ৭ জনের জবানবন্দি, ১০ জন কারাগারে দেশের সম্পদ বেচে মুজিবের মেয়ে ক্ষমতায় আসে না: প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে বাহুবলে মানববন্ধন

অনিশ্চয়তায় পড়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া

তরফ নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের আজ বৃহস্পতিবার সে দেশে  প্রত্যাবাসনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বাংলাদেশ। তবে নিরাপত্তা ও নাগরিকত্ব না পাওয়ার শঙ্কায় কেউ মিয়ানমারে যেতে রাজি হয়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার টেকনাফের উনচিপ্রাং ক্যাম্পে বিক্ষোভ করেছে শত শত রোহিঙ্গা। এ অবস্থায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।

সব কিছু ঠিকঠাক ছিল। তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশ। উখিয়ার আমতলী এবং টেকনাফের উনচিপ্রাং ক্যাম্পে রাখা ছিল তাদের পরিবহণের বাসও।

শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘‘আমরা ঘুমধুম পথ ব্যবহার করব বলে আগে সিদ্ধান্ত ছিল। তাদের তিন দিনের রেশনসহ সব কিছু প্রস্তুত ছিল। যারা স্বেচ্ছায় যেতে চায়, তাদের মর্যাদার সঙ্গে ফেরত পাঠানো হতো।’’

তবে দুপুরে হঠাৎ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে রোহিঙ্গারা। মিছিল সমাবেশে প্রকম্পিত করে তোলে পুরো ক্যাম্প এলাকা। পাঁচ দফা দাবিতে অনড় থাকে তারা। নিজ দেশে ফেরত যেতে অস্বীকার জানিয়েছে রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তাদের যে পাঁচ দফা দাবি রয়েছে, তা পূরণ হলেই দেশে ফিরে যাবে। তারা সঠিক নিরাপত্তা চায়। তারা মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বিশ্বাস করে না। মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে পরিচিতি দেওয়ার জন্যে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

পাঁচ দফা দাবিতে অনড় থেকে তারা ক্যাম্পে ক্রমাগত মিছিল সমাবেশ করেছে। এ অবস্থায় প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

গত ৩০ অক্টোবর মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে মনোভাব জানতে ৪৮৫টি রোহিঙ্গা পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জনের তালিকা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএচসিআর-কে দেওয়া হয়।

এখন ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে গোটা প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com