মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) হয়ে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের ভিসা বাতিল হওয়ার দুইদিন পর একই অভিযোগে এবার দ্রুত ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে বাংলাদেশি টেলিভিশন অভিনেতা গাজী আব্দুল নুরকে। তিনি সেখানে ২০১৮’র জুলাই থেকে অবৈধভাবে অবস্থান তো করছেনই; এমনকি সম্প্রতি দমদম শহরে টিএমসির প্রার্থী সৌগত রায়ের পক্ষে ‘মডেল কোড অব কনডাক্ট’ ভেঙে রাজনৈতিক কাজেও অংশ নিয়েছেন।
অভিযোগে দ্রুত ভারত তো ছাড়তেই হচ্ছে নুরকে, একইসঙ্গে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ভিসা ছাড়া অবস্থান করায় তার গুনতে হবে বিপুল পরিমাণ জরিমানা।
কেননা, ভিসা ছাড়া কোনো বাংলাদেশি সেখানে একদিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করলে, জরিমানা করা হয় ৩০০ ডলার। আর সেটা ছয় মাসে গড়ালে হয় ৫০০ ডলার। নুরের ভিসার মেয়াদ কবে শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে; প্রায় ১০ মাস হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে তার জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করবে এফএল অফিস।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজী আব্দুল নুরকে দ্রুত ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় বলে তাদেরই দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনেরও কথা হয়। এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নরুকে অবিলম্বে বাংলাদেশে ফিরে যেতে নির্দেশ দেয়।
নুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সাবেক পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে রাম নবমীর (রামের জন্মদিন) মিছিলে হেঁটেছেন তিনি। একইসঙ্গে দমদমে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের হয়ে প্রচার করেন বলে অভিযোগ আসে ছোটপর্দার এই অভিনেতার বিরুদ্ধে। ওই প্রচারের ভিডিওকপি জমা পড়েছিল নির্বাচন কমিশনের দফতরে।
নুর জি বাংলার সিরিয়াল ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’তে রাজচন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সেখানে তিনি বাণ্যিজ্যিক ভিসায় গিয়েছিলেন অভিনয় করার জন্য। ভিসাটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও নুর অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছিলেন- বিষয়টি জানা যায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল, যখন তিনি নিয়ম ভেঙে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিতর্কে আসেন।
এ বিষয়ে নুর বাংলানিউজকে বলেন, তিনি রাজনৈতিক দল সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি প্রচারে। কেবল উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তবে এ প্রচারে অংশ নেওয়াটা তার অন্যায় হয়েছে বলে স্বীকার করে নেন নুর। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয় অস্বীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রচারে অংশ নেওয়ায় ভারত সরকার যা শাস্তি দেবে, তা মাথা পেতে নেবো।
এর আগে ‘মডেল কোড অব কনডাক্ট’ ভেঙে টিএমসির রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদকে অবিলম্বে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে তার ভিসা বাতিল করে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ হিসেবে তাকে চিহ্নিত করা হয়।