বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নষ্ট দুর্গন্ধযুক্ত তেল দিয়ে ভাজা হয় বিস্কুট, পচা ডিম দিয়ে তৈরি করা হয় কেক আর পোড়া মবিল দিয়ে ভাজা হয় চানাচুর। এসব তৈরির পরিবেশ পুরোই অস্বাস্থ্যকর। কারখানায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। দুর্গন্ধের শেষ নেই। রেস্টুরেন্টের বাইরের চাকচিক্য দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, এত নোংরা পরিবেশে তৈরি হয় এখানে পরিবেশিত খাবার।
পরিবেশ ও খাবার তৈরির উপাদান দেখে যে কারও চোখ কপালে ওঠার কথা। এ খবর পেয়ে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারের স্বনামধন্য গাউছিয়া বেকারিসহ কয়েকটি খাদ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব।
রোববার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি ও র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিকেল ৩টা থেকে টানা ৩ ঘণ্টা এ অভিযান চালানো হয়। এসময় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব জানায়, অভিযানকালে মিরপুরের গাউছিয়া বেকারিতে থাকা নষ্ট কেক, কেক তৈরির জন্য রাখা পচা ডিম ভেঙে ফেলা হয়। দীর্ঘদিনের জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত নষ্ট তেল, বিস্কুট, কেক, গাড়ির পোড়া মবিল দিয়ে ভাজা চানাচুর, তেলের সঙ্গে মিশ্রিত পোড়া মবিল নষ্ট করে দেয়া হয়।
এ সময় বেকারির মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া পচাবাসি খাবার ও নষ্ট দই রাখার দায়ে নতুন ব্রিজ এলাকার বারাকা রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার, মিরপুর আরামবাগ রেস্টুরেন্টকে পচা সবজি ও মাছ রাখার দায়ে ২০ হাজার, নষ্ট, পচাবাসি খাবার বিক্রি করায় জিসান বাংলা বেকারিকে ২০ হাজার ও মিরপুর আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি জানান, অনেকগুলো সংস্থা রমজান সামনে রেখে প্রতিদিনই খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। তারপরও অতিলোভী ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থ বজায় রেখে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করছে। পচাবাসী খাবার সাধারণ মানুষকে খাওয়াচ্ছে। অনেক রেস্টুরেন্টে বিএসটিআই অনুমোদনহীন খাবার রেখে প্রতারণা করছে মানুষের সঙ্গে।