শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি সকল ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরে পাল্টে গেছে ভাটি বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা। সু-শিক্ষায় ও অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ হচ্ছে ভাটি বাংলার পরিবেশ।
জানা যায়, হবিগঞ্জ একটি হাওর অঞ্চলিয় জেলা। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি দূর্গম এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিলো হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসন। এক সময় এ আসনের প্রত্যেকটি গ্রামে বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে যেতে হতো। আর শুকনো মৌসুমে পায়ে হেটে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা ছিলো না। এখানকার মানুষের প্রধান কাজ ছিলো কৃষি ও মৎস আহরণ। ফলে কৃষি ও মৎস আহরণের উপর নির্ভর ছিলো ওই জনপদের অর্থনৈতিক অবস্থা। কিন্তু এখন আর কৃষি আর মৎস আহরণের মধ্যেই সিমাবদ্ধ নেই হাওরের অর্থনীতি। ব্যবসা বাণিজ্যে সমৃদ্ধ হচ্ছে সেইসব জনপদ।
সরকারের ১০ বছরে ভাটি বাংলা দৃশ্যপট পাল্টে যাওয়ার সাথে সাথে, পাল্টে গেছে অর্থনৈতিক অবস্থাও। শিক্ষা-দিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তিতে সম্বৃদ্ধ হচ্ছে এলাকার যুবসমাজ। কৃষি বদলে তারা বেচে নিচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে যুবসমাজ নিচ্ছে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, প্রত্যেকটি ইউনিয়নে দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। রাস্তা-ঘাটের ব্যপক উন্নয়নের মাধ্যমে শহরের সাথে হাওর অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা সুগম করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ধরণে ব্যবসা বাণিজ্যে আরও আগ্রহি হচ্ছে ওই এলাকার মানুষ।
সরকার হাওরের যুবসমাজকে দিয়েছে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, নারীদের দেয়া হয়েছে ঘরে বসে আয় করার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য দেয়া হচ্ছে স্বল্প সুদে ঋণ। একটি বাড়ি একটি খামারের মাধ্যমে ঘুরছে হাওরের অর্থনৈতির চাকা। সরকারের উন্নয়নে খুশি হাওরবাসীও।
হাওরের বাসিন্ধাদের সাথে কথা হলে জানা যায়, সরকারের উন্নয়নে খুশি তারা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার তার ১০ বছরে হাওরের জন্য ব্যপক কাজ করে গেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের মাধ্যমে হাওরের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছে। রাস্তাঘাট নির্মাণ করে যাতাযাতে সুবিধা সৃষ্টি করে দিয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করেছে। কৃষির জন্য দেয়া হয়েছে কৃষিঋণ।