মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : নড়াইল জেলা হাসপাতালে ঝটিকা সফরে গিয়ে চিকিৎসকের দেখা পাননি ওই এলাকার সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা। এনিয়ে ওই হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের উপর ফোনে ক্ষোভ ঝাড়েন মাশরফি। ২৫ এপ্রিলের সেই ফোনালাপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে মাশরাফি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু করেন অনেক চিকিৎসক।
মাশরাফিকে নিয়ে চিকিৎসকদের এমন সমালোচনায় ক্ষুব্দ হয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাশরাফি মাননীয় জাতীয় সংসদের সদস্য। শ্রদ্ধা-সম্মান কোনোদিন কেউ চেয়ে নিতে পারে না। এটা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দেন। ভুলেও ভাববেন না যে একজন সম্মানের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত মানুষকে অসম্মানিত করে আপনি সম্মানিত হবেন। কোনোদিনও হবেন না। কখনো হতে পারবেন না। এটা দয়া করে মনে রাখবেন চিকিৎসক ভাইয়েরা।
ডাক্তারদের উদ্দেশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন মাশরাফি সৃষ্টি করতে পারবেন! পারবেন আপনারা? হতে পারবেন নাকি জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন। হতে পারবেন একজন জাতীয় ডাক্তার! হয়ে প্রমাণ করেন যে, আপনি জাতীয় ডাক্তার তাই মাশরাফিকে নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখেন। পারবেন না তো।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যাকে নিয়ে লিখছেন তার সম্পর্কে মনে রাখতে হবে কাকে নিয়ে লিখছেন। কি লিখছেন। আসলে আপনি কি অর্জন করতে চান। আপনি যা অর্জন করতে চাচ্ছেন তা সম্মান দিয়েই তো অর্জন করতে হবে। কাজের মধ্য দিয়েই তো হতে হবে। নাকি আপনি বিপ্লবী আর প্রতিবাদী কথা লেখে সম্মানি মানুষকে অসম্মান করে অর্জন করবেন। আমরা ভুল ধরিয়ে দিব অবশ্যই। ভুল ধরিয়ে দেয়ার পর সমাধানের রাস্তাও আমাদের বের করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে মেধাবি সন্তান, মায়ের সবচেয়ে ভালো ছেলে আর মেয়েটি ডাক্তার হয়। সবচেয়ে মর্যাদার জায়গায় আমরা থাকব। এটাইতো আমাদের চাওয়া। কিন্তু আমাদের আচরণ আমাদের লেখা এতো কেনো নোংরা হবে। এতো কেন আশ্লীল হবে।
তিনি বলেন, একজন ডাক্তার এ ভাষায় লিখতে পারে না। এটা কোনো প্রতিবাদের ভাষা না, এটা কোনো অধিকার আদায়ের ভাষা না। প্লিজ আমি হাতজোড় করে আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি। আপনারা ফেসবুকে নোংরা ভাষায় সম্মানিত মানুষদের বিরুদ্ধে লেইখেন না। আপনারা আমাকে বলেন, যেখানে আসতে বলেন সেখানে এসেই আপনাদের কথা শুনব। আপনাদের কথার জবাব দিব।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে যান স্থানীয় সাংসদ মাশরাফি। বিনাছুটিতে চার চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় চিকিৎসককে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এর পর গেল সোমবার তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে মাশরাফির অনুরোধে তাদের দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে।