সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের উড়িষ্যা হয়ে আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে ফণীর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে আগামীকাল সকাল থেকেই। বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়ার অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (২৯) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৬.০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৪.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ০৯টায় (০২ মে, ২০১৯) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯২৫ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং পরবর্তীতে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। তবে খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় ইতোমধ্যে দেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।।