রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে সানাউল্লাহ বিশ্বাসকে (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশ নিজ বাড়ির রান্না ঘরের মেঝেতে মাটিচাপা দিয়ে রাখার অভিযোগে নিহতের ছেলে রানা বিশ্বাস(২৫) কে আটক করেছে খোকসা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আটক অভিযুক্ত রানা বিশ্বাসের দেওয়া তথ্যে নিহত সানাউল্লাহ বিশ্বাসের লাশ তার বাড়ির রান্না ঘরের মেঝে থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রানা বিশ্বাসকে সন্দেহমূলকভাবে আটকের পর পিতা হত্যার কথা স্বীকার করে সে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে, খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, আনুমানিক ৩ মাস আগে নিহত ব্যক্তির বড় মেয়ের ডিভোর্সের ২লক্ষ ৩০হাজার টাকা নিয়ে নিহত সানাউল্লাহ বিশ্বাস ও তর পরিবারের সদস্যদের মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। মেয়ের ডিভোর্সের টাকায় বাবা ব্যবসা করতে চাইলে তাতে বাঁধা দেয় পরিবারের অন্য সদস্যরা। এর জের ধরে আনুমানিক ৩ মাস আগে সানাউলল্লাহ বিশ্বাস ও তার ছেলে রানা বিশ্বাসের কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলে রানা বিশ্বাস তার বাবা সানাউল্লাহ বিশ্বাসকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এর কিছুক্ষন পর রানা বিশ্বাস বুঝতে পারেন তার বাবা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন।
এসময় নিহত সানাউল্লাহ বিশ^াসের লাশ বাড়ির রান্না ঘরের মেঝেতে পুতে রাখে ছেলে। নিহতের লাশ মাটিচাপা দিতে পরিবারের অন্য সদস্যরা সহযোগিতা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পুলিশ। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা সবাই ঢাকায় চলে যান। নিহতের স্ত্রী রানী খাতুন ঘটনার পর তার দুই মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরী করতে চলে যান। দীর্ঘ ৩মাস সানাউল্লাহ বিশ্বাসের কোন খোঁজ না থাকায় তার বড় ভাই আব্দুল বারিক বিশ্বাস খোকসা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পুলিশ ঘটনাটির তদন্তে নেমে লোহমর্ষক এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেন। এর আগে সাধারণ ডায়েরীর প্রেক্ষিতে রানা বিশ্বাসকে আটক করা হয়। আটকের পর রানা বিশ^াস পূরো ঘটনাটি পুলিশের কাছে খুলে বলে। পরে অভিযুক্ত রানা বিশ্বাসকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়ি থেকে নিহত সানাউল্লাহ বিশ্বাসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বাবা হত্যার দায়ে ছেলে রানা বিশ্বাসকে আসামী করে বৃহস্পতিবার রাতেই খোকসা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আব্দুল বারিক বিশ্বাস। মামলা নং-২।