শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা : বানিয়াচংয়ে অসহায় একটি প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ। আশ্বাস দিলেন সরকারি কোনো খাস জায়গায় টিনের ঘর নির্মাণ করে দেয়ার। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ভাতাও যাতে পায় সেটিও নিশ্চিত করে গেলেন জেলা প্রশাসক।
শুক্রবার (১০মে) বিকালে বানিয়াচং সদরের ২নং ইউনিয়নের সৈদ্যরটুলা মহল্লায় প্রতিবন্ধী পরিবারের কাছে গিয়ে এ আশ্বাসটুকু প্রদান করেন তিনি। জানা যায়,ওই মহল্লার বাসিন্দা তৈয়ব আলী ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে নিজের কোনো জায়গা-জমি না থাকায় একটি পুকুর পাড়ে ছন-বাঁশের একটি ভাঙ্গা করে বসবাস করে আসছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যক্তি তৈয়ব আলী ২/৩ বছর পূর্বে পায়ে বিদ্যুৎ লেগে মারাতœক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে তার পায়ের চিকিৎসা করাতে নিজের উপার্জনের সবকিছু তিনি ব্যয় করে দিয়েছেন। চিকিৎসা নেন ঢাকার ডেল্টা হাসপাতালে। এই ক্ষতিগ্রস্ত পা নিয়ে কোনো ধরণের কাজ করতে পারছেননা তিনি। চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসার পর থেকেই বড় মেয়ে রাবিয়াকে নিয়ে রাস্তাঘাটে টাকার জন্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করে যাচ্ছেন। তৈয়ব আলীর স্ত্রী মান্তাহাম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার ডান চোখে আঘাতে কারণে দেখতে পাননা। বড় মেয়ে রাবিয়াও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এই তিন প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তৈয়ব আলী এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। দুবেলা দুমোটো ভাত খেতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তার স্ত্রী মান্তাহাম প্রতিবন্ধী ভাতা পেতেন। কিন্তু বেশকিছু দিন ধরে তাও পাননা। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন পূর্বে একটি স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের নজরে এলে শুক্রবার তিনি এই প্রতিবন্ধী পরিবারের কাছে ছুটে আসেন। জেলা প্রশাসক তৈয়ব আলীর স্ত্রীর সাথে কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে যতো দ্রুত সম্ভব প্রতিবন্ধীর ভাতায় আওতায় আনার জন্য উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকারকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি সরকারি কোনো খাস জায়গায় এই পরিবারকে টিনের ঘর করে দেয়ার জন্যও বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-৭১টিভির জেলা প্রতিনিধি শাকিল চৌধুরী,যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি প্রদীপ দাস সাগর,সাংবাদিক তোফায়েল রেজা সুহেল,রায়হান উদ্দিন সুমন,আতাউর রহমান প্রমুখ।