শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
বড়লেখা সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় নাজমুল ইসলাম (২৫) নামে এক কোরআনে হাফেজের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে পাওয়া গেছে। আহতবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার রুকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নাজমুল উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের রুকনপুর গ্রামের সফিক আহমদের ছেলে। এ ঘটনায় নাজমুল ইসলামের মামা সালমান আহমদ রোববার (১২ মে) বিকেলে থানায় ৮ জনের নামোল্লেখ এবং আরও ৭-৮জনকে অজ্ঞাত করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রুকনপুর গ্রামের পশ্চিম রুকনপুর হাজী বাড়ি মসজিদে ইমাম না থাকায় স্থানীয় মুরব্বিরা কোরআনে হাফেজ নাজমুল ইসলামকে ওই মসজিদে রমজান মাসে তারাবি নামাজ পড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে হাফেজ নাজমুল ইসলাম ওই মসজিদে নামাজ পড়াতে শুরু করেন। গত ১০ মে বিবাদী মস্তকিন আলীসহ এলাকার কয়েকজন মসজিদে নামাজ না পড়ানোর জন্য নাজমুল ইসলামকে নিষেধ করেন এবং হুমকি দেন। পরদিন শনিবার রাতে নাজমুল ইসলাম আর ওই মসজিদে তারাবি নামাজ পড়াতে যাননি। এদিন রাতে নাজমুল জুড়ী উপজেলার একটি মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করেন। পরে তিনি কাঠালতলী বাজারে তার নিজস্ব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মোটরসাইকেল করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। রুকনপুর এলাকার কয়েছ আহমদের বাড়ির কাছে আসামাত্র আগে থেকে সেখানে ওত পেতে থাকা বিবাদী মস্তকিন আলীসহ ৭-৮জন ব্যক্তি নাজমুল ইসলামের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে হামলাকরীরা তাকে মৃত ভেবে ফেলে যায়। এসময় তার সাথে থানা নগদ টাকা ও একটি স্যামসাং মুঠোফোন এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন নাজমুলকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাফেজ নাজমুল ইসলামের মামা সালমান রবিবার রাতে সাড়ে ১১টায় বলেন, আমার ভাগ্নের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে এখনও বড়লেখা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নিতে হবে। বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এখন আবার থানায় যাচ্ছি।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক রবিবার রাতে বলেন, ঘটনাটি শোনার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছে। আমি নিজেও হাসপাতালে গিয়ে আহত ব্যক্তিকে দেখে এসেছি। তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। তবে কেউ এখনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।