শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আবিদা সুলতানা (৩৫) নামে এক নারী আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের পৈতৃক বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে। রোববার বেলা বারোটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার যেকোনো সময় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত আবিদা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বড়লেখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে আবিদার পৈতৃক বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া তানভীর আহমদকে (৩০) পলাতক রয়েছেন।
থানা পুলিশ, স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি দ্বিতীয় মেয়ের বাড়ি বিয়ানীবাজারে থাকেন।
আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ে বিবাহিত। তাদের মধ্যে আবিদা সুলতানা (৩৫) বড়। আবিদা মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। আবিদার স্বামী শরীফুল ইসলাম একটি ওষুধ কোম্পানীতে কর্মরত রয়েছেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজারে শহরে বসবাস করতেন।
এদিকে তাদের পৈতৃক বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উপজেলার চরকোনা গ্রামের মনির আলীর ছেলে তানভীর আহমদ থাকতেন। ২৬ মে রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় আবিদা বিয়ানীবাজারে বোনের বাড়িতে থেকে জরুরী প্রয়োজনে বাবার বাড়িতে যান। বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে আবিদার বোন তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাচ্ছিলেন না।
পরে আবিদার বোনেরা তাকে খুঁজতে বাবার বাড়ি দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামে আসেন। বাড়িতে এসে তারা কাউকে পাননি। এসময় ঘরের একটি কক্ষ তালা দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা পুলিশ নিয়ে গিয়ে তালা ভেঙে বোনের লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত আবিদার বোনের স্বামী মারুফ আহমদ বলেন, সকালে আবিদা আপা মৌলভীবাজারে যাওয়ার জন্য সকালে আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। দুদিন আগে তিনি আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। রবিবার সকালে সেখান থেকে বাবার বাড়িতে যান। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছিল না।
পরে আমার স্ত্রী খুজতে এখানে (মাধবগুলে) আসেন। এখানে ঘরে প্রবেশ করে একটি কক্ষ তালাবদ্ধ পান। পরে পুলিশ নিয়ে গিয়ে তালা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করেছে।
বড়লেখা থানার ওসি ইয়াছিনুল হক বলেন, নিহতের মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। তানভিরের মা ও স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।