শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন
তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : মৌসুমের শেষটা দুর্দান্ত হলো চেলসির। জোড়া গোল করলেন এদেন আজার। জালের দেখা পেলেন অলিভিয়ে জিরুদ ও পেদ্রো। আর্সেনালকে উড়িয়ে ইউরোপা লিগের শিরোপা জিতলো মাওরিসিও সাররির দল।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ফাইনালে ৪-১ গোলে জিতে চেলসি। ক্লাব পর্যায়ে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতায় এটা তাদের দ্বিতীয় শিরোপা। ২০১২-১৩ মৌসুমে প্রথমটি জিতেছিল দলটি।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে আন্তোনিও কন্তের উত্তরসূরি হিসেবে যোগ দেওয়া সাররির অধীনে চেলসির এটা প্রথম শিরোপা। একই সঙ্গে ক্যারিয়ারে প্রথম বড় কোনো শিরোপার স্বাদ পেলেন ইতালিয়ান এই কোচ।
শিরোপা লড়াইয়ের শুরুতে দুদলের খেলাতেই ছিল ছন্দের অভাব। এর মধ্যে অষ্টাদশ মিনিটে বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া ফরাসি ফরোয়ার্ড আলেকসঁদ লাকাজেত আগুয়ান গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগার মাথায় লেগে পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে আর্সেনাল। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি। আট মিনিট পর সুইস মিডফিল্ডার গ্রানিত জাকার ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া বুলেট গতির শট ক্রসবার ছুঁয়ে চলে গেলে বেঁচে যায় চেলসি।
ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা চেলসি প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে আর্সেনালের রক্ষণে চাপ বাড়ায়। ভালো দুটি সুযোগও পায় তারা; তবে সাফল্য মেলেনি। ৩৫তম মিনিটে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার এমেরসনের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পাঁচ মিনিট পর জিরুদের নিচু শটও দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন গোলরক্ষক পেতর চেক।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি চেক রিপাবলিকের গোলরক্ষক চেক। এমেরসনের ক্রসে নিচু হয়ে নেওয়া হেডে জাল খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড জিরুদ। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি একাদশ গোল।
১০ মিনিট পর বাঁ দিক থেকে আজারের পাস পেয়ে নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পেদ্রো। আসরে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের এটি পঞ্চম গোল। ৬৫তম মিনিটে আজারের সফল স্পট কিকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় চেলসি। ডি-বক্সে জিরুদ ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা।
তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার চার মিনিট পর দূরপাল্লার কোনাকুনি শটে ব্যবধান কমান আলেক্স আইওবি। তাতে অবশ্য ম্যাচের চিত্র একটুও বদলায়নি। ৭২তম মিনিটে জিরুদের পাস পেয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে স্কোরলাইন ৪-১ করেন আজার।
সংবাদ মাধ্যমের খবর মতে, আসছে গ্রীষ্মকালীন দল-বদলে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে এদেন আজারের। তা সত্যি হলে চেলসির জার্সিতে এটাই হয়ে থাকবে তার শেষ ম্যাচ। বিদায়ী উপহার হিসেবে নিজেও জিততে চেয়েছিলেন ইউরোপা লিগের শিরোপা। গোল করে ও করিয়ে উপলক্ষটা রাঙালেন বেলজিয়ামের এই ফরোয়ার্ড।