বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : একমাস সিয়াম সাধনার পর খুশির ঈদ সমাগত। আজ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে কাল বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্্যাপিত হবে। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশে মুসলমানরা বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। আজ সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে বৈঠকে বসবে। ওই সভা থেকে বাংলাদেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের ঘোষণা দেয়া হবে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এক মাস সিয়াম সাধনার পর এখন ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ঈদ জামাতের সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে।
প্রেসিডেন্ট, বিচারপতিগণ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, মুসলিম বিশ্বের কূটনীতিকবৃন্দ জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ঈদগাহে মহিলাদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টা, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টা, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টা এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী ইমামতি করবেন। দ্বিতীয় জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম, তৃতীয় জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক ড. মাওলানা মুশতাক আহমাদ, চতুর্থ জামাতে মুফতি মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান, পঞ্চম জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মাওলানা জুবাইর আহাম্মদ আল আযহারী ইমামতি করবেন।
ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ওয়ার্ডের মসজিদ, মাঠ ও ঈদগাহে ৪-৫টি করে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সেখানেও ঈদ জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ঈদের দিন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঈদ উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন ঈদ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলো ঈদের আগের দিন থেকে টানা ৭ দিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের ঘোষণা দিয়েছে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব শিশুপার্কে প্রবেশের সুযোগ এবং নগরীজুড়ে বিনোদন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয় কর্মসূচি ও নিজ নিজ কর্মসূচির আলোকে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে যথাযথ মর্যাদায় সরকারি কর্মসূচির আলোকে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।