শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন

মুশফিকের রান আউটে চাপে বাংলাদেশ

সাকিবের তিন চারে বাংলাদেশের একশ

ইনিংসের শুরুতে একটু সাবধানী থাকা মুশফিকুর রহিম মেডেন খেলেছেন মিচেল স্যান্টনারের একটি ওভার। থমকে যাওয়া রানের গতিতে দম দেওয়ার চেষ্টা করছেন সাকিব আল হাসান।

জিমি নিশামকে ২৩ ওভারের প্রথম তিন বল তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের সংগ্রহ তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন তিনি। সেই ওভার থেকে আসে ১৭ রান।

২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৮/২। সাকিব ৩৬ ও মুশফিক ১৮ রানে ব্যাট করছেন।

শর্ট বলে ফিরলেন তামিম

শর্ট বলে তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে বড় একটা ধাক্কা দিলেন গতিময় পেসার লকি ফার্গুসন।

ঘণ্টায় ১৪৪ কিলোমিটার গতির বাউন্সার পুল করাতে ওড়াতে চেয়েছিলেন তামিম। গতির জন্যই হয়তো টাইমিং করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। ফিরে যান মিডউইকেটে ট্রেন্ট বোল্টকে সহজ ক্যাচ দিয়ে।

৩৮ বলে তিনটি চারে ২৪ রান করেন তামিম। ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬২/২। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহিম।

বোল্ড হয়ে ফিরলেন সৌম্য

শুরুর কঠিন সময়টা পার করার পর ফিরলেন সৌম্য সরকার। ম্যাট হেনরিকে ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে হলেন বোল্ড।

হেনরির আগের ওভারে অফ দিয়ে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন সৌম্য। পরের ওভারে লক্ষ্য করেছিলেন লেগ সাইড। ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে ঠিক মতো পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।

২৫ বলে তিন চারে ২৫ রান করেন সৌম্য। ৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪৬/১। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী আগের ম্যাচের নায়ক সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের সাবধানী শুরু

ইনিংসের শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করছেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দুই বাঁহাতি ওপেনারের ধীরে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২/০। দুই ব্যাটসম্যানই খেলেছেন ১৫ বল করে। দুই জনেরই রান ১১। সৌম্যর ব্যাট থেকে এসেছে একটি বাউন্ডারি, তামিমের ব্যাট থেকে দুটি।

অপরিবর্তিত নিউ জিল্যান্ড একাদশ

আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে টম ল্যাথাম জানিয়েছিলেন, একই একাদশ নিয়ে খেলবে নিউ জিল্যান্ড। তা-ই হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া দলটি নিয়েই খেলছে তারা।

চোট থেকে সেরে না ওঠায় টানা দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশের বাইরে আছেন টিম সাউদি ও হেনরি নিকোলস। তিন পেসার, দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ও একজন স্পিনিং অলরাউন্ডার নিয়ে বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে নিউ জিল্যান্ড।

নিউ জিল্যান্ড দল: মার্টিন গাপটিল, কলিন মানরো, কেন উইলিয়ামসন, রস টেইলর, টম ল্যাথাম, জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট।

একই একাদশ নিয়ে বাংলাদেশ

উইকেট ও প্রতিপক্ষ ভিন্ন হলেও একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো একাদশই খেলছে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ব্যবহৃত উইকেটে খেলা ও তাদের ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কজন বাঁহাতি দেখে অফ স্পিনে বাড়তি বিকল্প হিসেবে নেওয়া হয়েছিল মোসাদ্দেক হোসেনকে। নিউ জিল্যান্ডের সম্ভাব্য ব্যাটিং অর্ডারেও প্রথম ছয়জনের মধ্যে তিন জন বাঁহাতি। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে মোসাদ্দেকের অফ স্পিনও তাই কাজে লাগাতে চায় দল

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, টস জিতলে বোলিং নিতেন তিনিও। ব্যাটিং সহজ হবে না, ব্যাটসম্যানদের টিকে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়ের সন্ধানে

ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেই প্রথম বাংলাদেশের জয় দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছিল। কিউইদের দুটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের কীর্তি আছে তাদের। তবে বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় এখনও অধরাই রয়ে গেছে। পঞ্চম দেখায় সেই অপূর্ণতা ঘোচানোর অপেক্ষায় বাংলাদেশ।

লন্ডনের দা ওভালে বাংলাদেশ সময় খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।

বিশ্বকাপে আগের চার ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে রান তাড়া করে জিতেছে নিউ জিল্যান্ড। প্রথম তিনটিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি। ২০১৫ আসরে লড়াই করে ৩ উইকেটে হারে বাংলাদেশ।

কিউই সুইং আর কিউই ঝড়ের চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ

এবারের নিউ জিল্যান্ড দলের বড় শক্তি পেস আক্রমণ। দারুণ স্কিলফুল ও বৈচিত্রময়। ট্রেন্ট বোল্টের গতিময় সুইং, ম্যাট হেনরির উইকেট শিকার করার প্রবণতা, লকি ফার্গুসনের গতি। মূল তিন পেসারের সঙ্গে পেস বোলিং অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও জিমি নিশামের নিয়ন্ত্রণ ও ছোট ছোট সুইং।

যে কোনো উইকেটেই এই পেস আক্রমণ দুর্দান্ত। তবে যদি কন্ডিশন থাকে এ রকম পক্ষে আর উইকেটে থাকে ঘাস, এই পেস আক্রমণ ভয়ঙ্কর। প্রথম ম্যাচে কার্ডিফে সেটি টের পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

তাদের পেসাররা যেমন তোপ দাগান প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের দিকে, কিউইদের দুই ওপেনার আবার মুহূর্তেই এলোমেলো করে দেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। কলিন মানরোর কাছে বল মানেই পেটানোর জিনিস। মার্টিন গাপটিল তো ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা ওপেনারদেরই একজন। দুইজন বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ সফলও। তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সামনে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com