বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

সাইফ বোলিং-ব্যাটিংয়ে এলে টিভি ছেড়ে উঠে যাই: মা

সাইফউদ্দিন ও তার মা

তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার প্রতিটি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যিনি বোলিংয়ে ঝটপট উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও চালাতে পারেন ধুমধাড়াক্কা তাণ্ডব। এমন একজন অলরাউন্ডারের অভাব বাংলাদেশ দলে ছিল সবসময়। এ জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনকে দিয়ে পরীক্ষাও চালানো হয়েছে।

শুরুর দিকে খালেদ মাহমুদ সুজন আর মুশফিক বাবুকে দিয়ে চেষ্টা চলেছে। পরে আবার কখনো ফরহাদ রেজা, কখনো জিয়াউর রহমান। ফরহাদ রেজার আগমন চমকপ্রদ হলেও কারণে-অকারণে নিজেকে তেমন মেলে ধরতে পারেননি তিনি। আর জিয়া মারদাঙ্গা ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত হলেও নিজেকে টিকিয়ে রাখার মতো তেমন কিছু করতে পারেননি। যদিও তিনি সুযোগ পেয়েছেন যথেষ্ট।

এরপর হঠাৎ শোনা গেলো, জুনায়েদ সিদ্দিক ও জহুরুল ইসলাম অমিকে পেস অলরাউন্ডার বানানোর চেষ্টা চলছে! এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজও হয়। কিন্তু তাদের আর অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার সুযোগ হয়নি। আবার হঠাৎ করে আলোচনায় আসেন আলাউদ্দিন বাবু। কিন্তু আলোচনাতেই শেষ, সুযোগ পাননি জাতীয় দলে। অন্যদিকে নিয়মিত ঘরোয়া লিগে দারুণ পারফর্ম করে বেশ আলোচনা তৈরি করেন, রাজশাহীর ফরহাদ হোসেন। কিন্তু জাতীয় দলে খেলা তারও ভাগ্যে জুটেনি।

সাইফুদ্দিনের শিকারে উচ্ছ্বাসিত সাকিব-মাশরাফি

আরেকজন অলরাউন্ডর মুক্তার আলীকে সামান্য পরীক্ষা করেই শেষ। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে পেস অলরাউন্ডাররা যেখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ক্রিকেট মাঠ, সেখানে আমাদের কেউ নেই! তাই হয়তো সৌম্য সরকারকে দিয়েও চলেছে শূন্যতা পূরণের অপরিকল্পিত ও অনিয়মিত চেষ্টা। তবু ষোলতে ষোল হচ্ছিল না কোনোভাবেই।

তবে বাংলাদেশ আশা দেখতে শুরু করে ২০১৬ তে এসে। তখন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ বড় সৌভাগ্য বয়ে আনে। কয়েকজন তরুণ-তুর্কি পারফরমেন্স দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন। যুবাদের সে দল থেকে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর মিরাজের পথ ধরে এগিয়ে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

ব্যাট হাতে সইফ উপহার দিতে পারেন চমৎকার ইনিংস

সাইফউদ্দিনের শুরুটা অতো আশা-জাগানিয়া না হলেও ক্রমান্বয়ে নিজেকে মেলে ধরেন তিনি। শেষমেশ থিতু হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত একাদশে। ক্রিকেটবোদ্ধারা তার মাঝে খুঁজে পেয়েছেন একজন প্রতিশ্রুতিশীল বিশ্বমানের অলরাউন্ডারকে। বাংলাদেশের ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক’তো তাকে নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। বলেছেন, আগামী দশ-বারো বছরে সাইফউদ্দিন হবেন বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার!

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত অক্টোবরের সিরিজে সাইফ দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যে নজর কেড়েছেন অনায়াসেই। নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েও চমৎকার ও সপ্রতিভ পারফর্ম করেছেন। এরপর আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে বল হাতেও প্রতিদান দিয়েছেন দারুণভাবে। চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বল হাতে ৯ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন সাইফ।

চিরচেনা উৎসবে সাইফের নানন্দিক রূপ

চৌকস ও বুদ্ধিদীপ্ত এই অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে চমৎকার খেলতে অভ্যস্ত। বল হাতেও দারুণ ধারাবাহিক। এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে গেলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রতিটি ম্যাচে নিজেকে উজাড় করে দিতে যান তিনি, তার পারফরম্যান্স ও শরীরীভাষায় সেটার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রত্যেক মা নিজের সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। সন্তানের প্রতিটি কাজে মায়ের অনুপ্রেরণা, সাহস, মায়া, ভালোবাসা, দিকনির্দেশনা ও দোয়া থাকে।

সাইফ আনন্দঘন এমন দৃশ্য উপহার দিতে চায় নিয়মিত

মায়ের বক্তব্যেই শোনা যাক আজকের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের এতদূর আসার সাত-সতেরো-

ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ছিল অদম্য
‘ছোটবেলা থেকেই খেলার প্রতি সাইফউদ্দিনের প্রবল আগ্রহ-উদ্দীপনা ছিল। ‘মুসলমানি’ করালে সাধরণত শিশুরা খেলাধুলা তেমন করতে পারে না। কিন্তু সাউফউদ্দিন ছিলো সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ওকে ব্যাট-বল এনে দেওয়ার পর বাসাতেই ওই অবস্থায় সে খেলতে শুরু করে।

শৈশবে অধিকাংশ সময় এমন হয়েছে যে, সন্ধ্যা নেমে এসেছে। কিন্তু সাইফউদ্দিন খেলার মাঠ থেকে বাসায় ফেরেনি। তখন দেখা যেত নামাজ হয়তো একটু পরে পড়তে হতো। যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করে তখন ফিরেই বলতো, ‘আম্মু ভাইয়াকে বলেন আমার সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে।’ ভাই বলতো, এখন তো স্যার আসবে। ভাইয়া সামান্য সময় একটু বিশ্রাম নেই। স্যার চলে যাওয়ার পর খেলবো। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সাইফউদ্দিন তো দমে যাওয়ার পাত্র নয়। তাকে খেলতেই হবে। তাই অনেক সময় দেখা গেছে, বড় ভাই বের হয়নি কিন্তু সাইফ ব্যাট-বল নিয়ে বেরিয়ে গেছে। এদিকে স্যার এসে তার জন্য অপেক্ষামান। কিন্তু সাইফ তখন খেলার মাঠে। তখন আবার তাকে খুঁজে ডেকে নিয়ে আসতে হতো।

সাইফের বোলিংয়ে কুপোকাত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান

বড় পর্যায়ে খেলার লালিত স্বপ্ন

খেলার প্রতি তার আগ্রহ কেমন ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার এতো আগ্রহ ও ভালোবাসা দেখে তাকে বলতাম, আমাদের এদিক থেকে তো কাউকে বড় পর্যায়ে খেলতে দেখিনি। তুই কি পারবি? তখন সাইফ অকপটে বলতো, হ্যাঁ আম্মু পারবো ইনশাআল্লাহ।

ক্লাস সেভেনে ওঠার পর তাকে পেয়ে বসে আরেক ভাবনা। শুধু বলতে থাকে, ‘আম্মু এবার ফেনী শহরে চলেন। ওখানে বাসা নিয়ে থাকবো। গ্রামে হলে ভালো করে খেলতে পারবো না।’

ব্যাটসম্যানদের জন্য ত্রাস হতে চায় প্রতিনিয়ত

নতুন পথে চলতে শুরু

ফেনী আসার পর কোন ক্লাবে ভর্তি হবে এ নিয়ে তার মনে বিভিন্ন রকমের জেদ দেখা যায়। আমাকে বলতে শুরু করে আম্মু আমাকে অমুক ক্লাবে ভর্তি করান। কিন্তু আমি তো কোনো ক্লাব তখন চিনি না। এরপর দেখলাম সে ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু কীভাবে যে ভর্তি হয়েছে, আমি নিজেও জানি না। আমাকে একদিন বলে, আম্মু এক শ টাকা দিন, ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবে ভর্তি হবো।

তার চাওয়ার ভিত্তিতে তাকে এরপর ভর্তি করানো হয় শাহিন একাডেমিতে। তখন স্কুল থেকে এসে তড়িঘড়ি করে আবার ছুটতো ক্লাবে।

সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে পড়ে থাকতো খেলার মাঠে। মাগরিবের পর বাসায় না আসলে তো আমার আর শান্তি লাগতো না। তাই বারবার খোঁজ করতাম। ডেকে নিয়ে আসতাম।

প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যান যখন সাজঘরের পথে

অপু-কামরুল ও স্বপন​দের (কৈশোরের কোচ) সঙ্গে পরিচয়

যেখানে ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবে খেলতে খেলতে অপুদের (শরিফুল ইসলাম অপু, কামরুল ইসলাম ও স্বপন) সঙ্গে পরিচয়। আমি মনে করি, ফেনীতে আমি ছাড়াও তার অনেকজন অভিভাবক হয়ে ওঠে।

প্রাথমিক পর্যায়ে জেলাভিত্তিক দলগুলোতে খেলে সাইফ। ২০০৮ সালে ওর বাবা মারা যাওয়ার পর আমার বড় ভাই গাইড করতেন। মোটামুটি খোঁজখবর রাখতেন। কখন কী অবস্থা তা জানতে চাইতেন। সর্বোপরি আল্লাহর রহমত, নিজের চেষ্টায় সাইফ প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে। তবে পেছন থেকে অপু, কামরুল ও স্বপনরা যথেষ্ট দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শ দিতো।

নিজস্ব ভঙ্গিমা, স্বকীয় উদযাপন

ছেলেকে আর বাধা দেইনি

যখন দেখলাম সে পারবে, তার দ্বারা কিছু হওয়া সম্ভব—তখন আর বাধা দিইনি। তখন আমরা বলাবলি করতাম, ওর যেহেতু আগ্রহ প্রচুর সে চেষ্টা করে দেখুক—কতদূর যাওয়া যায়।

ছেলের জন্য মায়ের চেষ্টা
রাতে ঘুমানোর সময় বলতো, আম্মু আপনি যখন ফজরের সময় ওঠবেন আমাকে জাগিয়ে দেবেন। তাই প্রতিদিন সাত-সকালে জাগিয়ে দিতাম। নাস্তা আর দানাপানি দিয়ে ‘আল্লাহর হাওয়ালা’ করে বিদায় দিতাম। তখন বাসা থেকে বের হয়ে হয়তো ও কলেজ মাঠে অথবা স্টেডিয়ামে চলে যেতো।

ঝগড়া করে খেলা দেখা, খেলা দেখে স্বপ্ন পোষা

বাসায় বসে টিভিতে খেলা দেখা তার ভীষণ শখের ছিল। বোনদের সঙ্গে এজন্য রীতিমতো ঝগড়া হতো। সবাই বলতো নাটক দেখবো, কিন্তু সে খেলা দেখতে অনড়। খেলার সময় অন্যকিছু দেখতে কোনোভাবেই রাজি নয়। তার এমন অদম্য অভ্যাস দেখে বলতাম, ‘তুই যে এতো খেলা দেখিস, এদের মতো হতে তুই পারবি?’ সে বিশ্বাস নিয়ে বলতো, ‘পারবো ইনশাআল্লাহ। পারবো না কেন?’

জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণ
জাতীয় দলে প্রথম সুযোগ পাওয়ার সুখবর সর্বপ্রথম ফোন করে সে আমাকে জানিয়েছে। তখন  অ-নে-ক খুশি লেগেছে। এর আগে অনেকে বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করতো। কেউ কেউ বলতো যতই চেষ্টা করুক, লোক ছাড়া জাতীয় দলে খেলা সম্ভব নয়। এ কথা আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেও বলতো। কিন্তু আল্লাহর অসীম রহমতে সে নিজের চেষ্টায় এগিয়ে গেছে এবং জাতীয় দলে নিজেকে অপরিহার্য প্রমাণ করেছে।

মা দেখতে পারেন না ছেলের খেলা!

বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসি, কিন্তু সাইফউদ্দিন বোলিংয়ে বা ব্যাটিংয়ে এলে আমি চলে যাই। ওর খেলা দেখতে পারি না। কারণ, ভালো করবে নাকি খারাপ করবে—এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি। ভালো খেললে তো কোনো কথা নেই। সবার মতো নিজের কাছে ভালো লাগে। কিন্তু যদি খারাপ করে! তাহলে তো কষ্ট লাগে। এ আশঙ্কায় ওর ব্যাটিং-বোলিং আমি দেখি না। ছেলে-মেয়েদের পরে জিজ্ঞেস করি, ও কী করলো?

বিদেশ থেকে মায়ের সঙ্গে কথোপকথন
বিভিন্ন দেশে যখন ও খেলতে যায়, প্রায় প্রতিদিন ফোন করে। আমরাও বাসা থেকে ফোন দেই। অনেক সময় আমার খারাপ লাগলে বা কথা বলতে ইচ্ছে হলে আমি নিজেই ফোন দিই। এই বছর ঈদে বাসায় ছিল না। প্রতি ঈদে তিন ভাই মিলে ঈদের নামাজ আদায় করতে যায়। একসঙ্গে ঘোরাফিরা, খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ করে। বিকেলে বাড়িতে গিয়ে বাবার কবর জিয়ারত করে আসে। আমি কামনা করি, সাইফউদ্দিন সবসময় ভালো করুক। বাকি সবকিছু তো আল্লাহর হাতে।

মায়ের জন্য বিদেশ-বিভূঁইয়ে কেনাকাটা

বিদেশে গেলে বিভিন্ন কিছু আমার জন্য কিনে নিয়ে আসে। আবার ফোন করে জিজ্ঞেস করে, আম্মু কী নিয়ে আসবো? কিন্তু আমি তেমন কিছু বলি না। বিদেশি জিনিসের প্রতি আমার এতো আগ্রহ নেই। মেয়ের জামাতা বিদেশে থাকেন, সে বিভিন্ন কিছু নিয়ে আসে প্রতি বছর। ঘরের সবার জন্য নিয়ে আসে সে। তবু সত্য কথা বলতে কি বিদেশি জিনিসের প্রতি আমার অতো আগ্রহ নেই। এরপরও সে জিজ্ঞেস করে, কী নিয়ে আসবো? কী কিনবো? ইত্যাদি।

মা তুমি বাবা তুমি
এখনো প্রত্যেক বিষয় আমার সঙ্গে শেয়ার করে। এ বছর যে পরিমাণ জাকাত এসেছে, যাওয়ার আগে সবগুলো বণ্টনের দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গেছে। সবকিছুতে আমাকে স্মরণ করে। না জানিয়ে কিছু করে না।

ইস্পাত-কঠিন মানসিকতায় দৃঢ়চেতা সাইফ
সাইফ ভদ্র-সুবোধ। তবে অসম্ভব জেদিও বটে। অপরিণত বয়স থেকেই তার বেশ জেদ ছিল। যেটা করবে বলতো, সেটা করেই ছাড়তো। যেটা কিনে দিতে বলতো, তা কিনে দিতেই হতো। তার কথার ওপর কেউ কথা বলতে পারতো না। ছোটবেলায় কখনো বাজারে গেলে, সে বলতো আমাকে এটা কিনে দিতে হবে। সে যেটা কিনে দিতে হবে বলতো, সেটা দিতে হতোই। ওর আব্বু সরকারি কাজে বাইরে যাওয়ার সময় বলে যেত, ‘দেখবা সাইফ একদিন অনেক কিছু হতে পারবে, তার প্রচণ্ড জিদ।’

ভবিষ্যতে তুমি কী হতে পারবে?

আমার বড় ছেলে একদম শান্ত-সৌম্য। লেখাপড়ায় ভালো ছিল। তাই বড় ছেলেকে নিয়ে বেশি স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু সাইফউদ্দিন ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত—জেদি ও মেজাজি। যা বলে তা করেই ছাড়ে। কিন্তু সময়ের পালাক্রমে মন-মানসিকতায় এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে।

মাঝে মাঝে আমি সাইফকে বলতাম, এতো জিদ নিয়ে তুমি ভবিষ্যতে কী করবে? কী হতে পারবে? সে বিশ্বাস নিয়ে বলতো, ‘আপনি দেখবেন আমি অনেক কিছু করবো।’

জাতীয় দলের সবাই নিজের সন্তানের মতো
বাংলাদেশ টিমের প্রত্যেক সদস্য সাইফউদ্দিনের মায়ের কাছে নিজের সন্তানের মতো। তাই সাইফউদ্দিনের জন্য যেমন দোয়া করেন, তেমনি অন্যদের জন্যও দোয়া করতে ভোলেন না। তাই মায়ের দরদ ও ভালোবাসা-উচ্ছ্বাস নিয়ে বললেন, ‘পুরো বাংলাদেশ টিমের জন্য দোয়া। প্রত্যেকের জন্য দোয়া, সবাই যেন ভালো খেলে। তারা ভালো খেললে তো আমাদের ভালো লাগে। সবার জন্য দোয়া কামনা করি, সামনের প্রতিটি ম্যাচ যেন তারা ভালো খেলে। বাংলাদেশ টিমের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com