শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের এমপি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদকে হত্যা পরিকল্পনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাজুল ইসলাম লুলুকে পুলিশ আটক করেছে। মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ বুধবার (১৯ জুন) রাত ৯টার দিকে মৌলভীবাজার শহর এলাকা থেকে তাকে আটক করে। তাজুলের বাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলার দরগাহ্পুর গ্রামে। আটকের পর তাকে শ্রীমঙ্গল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ অর্থের যোগানদাতা বিকাশ এজেন্ট ফজলুর রহমান গা ঢাকা দিয়েছেন।
তবে আটক হওয়ার ৮ ঘন্টা আগে বুধবার মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তাজুল বলেন, জীবন ও জীবিকার তাগিদে ছোট একটি ব্যবসা পরিচালনা করছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদকে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তার নাম ব্যবহার এবং তাকে আইএসআই’র সংগঠক বলার প্রতিবাদে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ওই চিঠিতে আমাকে ও আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মৌলভীবাজার হিজামা অ্যান্ড রুকিয়া সেন্টারকে জড়িয়ে আমার পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা আমার প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ- শ্রীমঙ্গল) আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ মহোদয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে মর্মে জানানো হয়।’ চিঠিতে তাকে (তাজুল) আইএসআই’র সংগঠক উল্লেখ করায় তিনি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ধরনের নিকৃষ্ট কর্মকা-ের সাথে তিনি বা তার পরিবারের কোন সম্পর্ক কখনও ছিলনা, বর্তমানেও নেই। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনি সামাজিকভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা তাকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করছে। তাজুলের দাবি, তাকে ফাঁসানোর এটি একটি ষড়যন্ত্র। তিনি চিঠির প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তাজুলের নানা খন্দকার সৈয়দ আব্দুস সালাম ও ছোট ভাই লোকমান আহমদ।
উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদকে হত্যা পরিকল্পনার তথ্যসম্বলিত চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে এম.পি’র ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) মোহাম্মদ ইমাম হোসেন সোহেল শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেছেন (নং ৮৯৯, ১৬/০৫/১৯)। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ থানায় পৃথক আরও দুটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।