শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাহুবল হাসপাতালের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথম সভা বাহুবলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল শিশুদের বিবাদের জেরে আজমিরীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫ দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক বান্দরবানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার ফেনীতে ট্রেন-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৬ ফিলিস্তিনি শিশু দিবস: গাজায় প্রতি ঘণ্টায় মরছে ৪ শিশু বাহুবলে বাংলা নববর্ষ ও ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ফের অর্থমন্ত্রী পাবার স্বপ্নে বিভোর হবিগঞ্জবাসী

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : দিন যতো ঘনিয়ে আসছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ ততোই বাড়ছে। গ্রাম-গঞ্জ, হাট বাজার থেকে শুরু করে সর্বত্র নির্বাচনী আলোচনা। কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী। আর কে-ই বা করবেন জয়লাভ। কোন প্রার্থী কতটুকু যোগ্য তার সমালোচনাও চলছে। তবে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে কে কোন দল থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন।

হবিগঞ্জের ৪টি আসন নিয়ে ধুম্রজালের বিষয় উঠে আসছে আলোচনায়। পুরনো প্রার্থীরাই থেকে যাবেন, না-কি নতুন মুখও আসতে পারে। আর মহাজোটকেই বা কোন আসন দেয়া হবে? এর হিসেব মিলাচ্ছেন ভোটাররা।

হবিগঞ্জের ৪টি আসনের মধ্যে সব চেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনটি। সারা বছর সেখানে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। এমনকি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র বিক্রির প্রথম দিনেই এই আসন থেকে মনোনয়ন কিনেছেন বর্তমান সাংসদ অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. মুসলিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম আকবর হোসাইন জিতু, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুনির, প্রয়াত মন্ত্রী এনামূল হক মোস্তফা শহীদের ছেলে নিজামুল হক রানা ও প্রকৌশলী আরিফুল হাই রাজিব।

এদিকে, হঠাৎ করেই হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে চমক হিসেবে আবির্ভূত হন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব অর্থনীতিবিদ ড. ফরাসউদ্দিন। তাঁর আগমনি এই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বাড়াভাতে ছাই ঢালা হলেও খুশি ভোটাররা। শুধু হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনই নয়, ডা. ফরাসউদ্দিন এই আসন থেকে নির্বাচন করবেন শুনে খুশি জেলার সকল মানুষ। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এএমএস কিবরিয়াকে হারানোর ক্ষত এখনও শুকায়নি জেলাবাসীর। তবে ড. ফরাসউদ্দিন হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে মনোনয়ন কেনায় আবার অর্থমন্ত্রী পাবার স্বপ্নে বিভোর হবিগঞ্জবাসী।

জেলার সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। এমনকি তাঁকে সম্মান জানাতে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশী কয়েকজনে মনোনয়নপত্র কেনেননি। ভোটাররা মনে করছেন, ড. ফরাসউদ্দিন যেহেতু মনোনয় কিনেছে সেহেতু এই আসনে তিনিই চূড়ান্ত। সেই সাথে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাঁকে অর্থমন্ত্রনারয়ে দ্বায়িত্ব দেয়া হবে এমনটা ভাবছেন অধিকাংশ ভোটাররা।

তাদের দাবি, যেহেতু বর্তমান অর্থমন্ত্রী অবসরে যাওয়ার চিন্তা করছেন, সেহেতু অর্থমন্ত্রী ড. ফরাসউদ্দিনের বিকল্প হতে পারে না। তাই প্রধানমন্ত্রী তাঁকেই অর্থমন্ত্রীয় দায়িত্ব দেবেন। আর তাকে অর্থমন্ত্রী দিলে এলাকার উন্নয়নে তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলেও মনে করেছেন অনেকে।

ড. ফরাসউদ্দিনের মাধ্যমে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এএমএস কিবরিয়াকে হারানোর ক্ষতও ঢাকতে চান হবিগঞ্জবাসী। এখন দেখার পালা শেষ পর্যন্ত তিনি কি মনোনয়ন পান? মনোনয়ন পেলে কি তিনি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন? তিনি বিজয় ছিনিয়ে আনলেও আওয়ামী লীগ কি সরকার গঠন করতে পারবেন? আর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাঁকে কি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হবে?

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com