শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাহুবল হাসপাতালের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথম সভা বাহুবলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল শিশুদের বিবাদের জেরে আজমিরীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫ দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক বান্দরবানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার ফেনীতে ট্রেন-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৬ ফিলিস্তিনি শিশু দিবস: গাজায় প্রতি ঘণ্টায় মরছে ৪ শিশু বাহুবলে বাংলা নববর্ষ ও ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বাহুবলে নতুন বই রেখে পুরাতন বই বিতরণের অভিযোগে শিক্ষিকা বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বড়ইউড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন পাঠ্যবই বিক্রির উদ্যেশে লুকিয়ে রেখে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরাতন বই বিতরণের অভিযোগে সহকারি শিক্ষিকা ফাতেমা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রধান শিক্ষক মহসিন মিয়ার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা স্কুলে গিয়ে পুরাতন বই সংগ্রহ করে উপস্থিত শিশুদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা আরো অনেক অভিযোগ দিয়েছেন। আমি তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার না থাকার কারণে ইউএনও মো. জসীম উদ্দিনের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার ও সচিব বরাবরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি।

জানা যায়, পহেলা জানুয়ারি বই উৎসবের মাধ্যমে সারাদেশে শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছে সরকার। কিন্তু উপজেলার বড়ইউড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহসিন মিয়া বই বিক্রির উদ্যেশে ছুটিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহধর্মিনী ফাতেমা বেগমের মাধ্যমে নতুন বই স্টোর রুমে লুকিয়ে রেখে ২০১৫-১৭ সালের পুরাতন বই সংগ্রহ করে দেড়শত শিশুদের হাতে তুলে দেন। দ্বিতীয় শ্রেণির পুরাতন বই সংগ্রহ করতে না পেরে শুধুমাত্র সেই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. জসীম উদ্দিন জানতে পেরে বুধবার সকালে সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিক অফিসকক্ষে থাকা নতুন বইগুলো জব্ধ করে প্রধান শিক্ষক মো. মহসিন মিয়া ও তার স্ত্রী সহকারি শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম কে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসেন। ইউএনও মো. জসীম উদ্দিন কার্যালয়ে বসে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে আলোচনা করে বিভাগীয় কমিশনার ও সচিব বরাবরে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com