সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাহুবল সানশাইন ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাহুবল নিউ ভিশন কেজি এন্ড মডেল হাই স্কুলে চাকুরির বিজ্ঞপ্তি পাগলা কুকুরের তান্ডব, শিশু কিশোর যুবক যুবতিসহ আহত ২০ কুয়েত, বাহরাইন, আমিরাতের আকাশপথ আবার সচল যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মধ্যেই ইসরায়েলে ইরানের ‘ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি’, নিহত ৩ ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সব ফ্লাইট বাতিল, আকাশসীমা বন্ধ চার দেশের বাহুবলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মাঝে ফ্রী চিকিৎসা সেবা দিলেন ডাঃ শারমিন আক্তার বাহুবলে অপহরণ করে কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ : শালা-দুলাভাই গ্রেফতার গভীর রাতে টিলাধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু শেখ হাসিনার বিচার ট্রাইবুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে রবিবার

নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলা: অসুস্থ স্বামীকে মসজিদে খুঁজতে গিয়ে প্রাণ দিলেন পারভীন

তরফ নিউজ ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশি নারী হুসনে আরা পারভীন (৪২)-এর বাড়ি সিলেটে। স্বামীর সাথে তিনি নিউজিল্যান্ড থাকেন। স্বামী ফরিদ উদ্দিনকে বাঁচাতে গিয়েই পারভীন মারা যান বলে তাদের পারিবকারিক সূত্রে জানা গেছে।

ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চক গ্রামে। আর হুসনে আরা পারভীন সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাঙ্গাল হাটা গ্রামের মৃত নুরুদ্দিনের মেয়ে। ১৯৯৪ সালে বিয়ে হওয়া এই দম্পত্তির এক কন্যা সন্তান রয়েছে।। সর্বশেষ  ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন।

ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে এই সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন বাংলাদেশি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে পারভীনই একমাত্র নারী। তবে এ হামলায় বেঁচে গেছেন তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন।

হুসনে আরার ভাগ্নে মাহফুজ চৌধুরী জানান, বিয়ের পর স্বামীর সাথে নিউজিল্যান্ড যান হুসনে আরা। তারা ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় বসবাস করতেন। তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন কিছুদিন দিন ধরে প্যারালাইজড অবস্থায় আছেন। হামলার প্রায় আধঘন্টা আগে হামলা হওয়া মসজিদে অসুস্থ স্বামীকে রেখে পাশ্ববর্তী নারীদের জন্য মসজিদে যান হুসনে আরা।

মাহফুজ চৌধুরী বলেন, প্রায় ১৫ মিনিট পর পুরুষদের মসজিদের ভেতরে গুলির শব্দ শুনে পারভীন তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য বের হন। এসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।

নিউ জিল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো নিহত পারভীনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে পারভীনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিউ জিল্যান্ডে অবস্থানকারী তার স্বজনদের জানানো হয়েছে।

নিজের খালু বেঁচে আছেন জানিয়ে মাহফুজ চৌধুরী বলেন, মসজিদের বাইরে গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন মুসল্লি হুইল চেয়ারে করে তাকে (ফরিদ উদ্দিনকে) মসজিদ থেকে বের করে নেওয়ায় তিনি বেঁচে গেছেন।

নিউ জিল্যান্ডে বসবাসকারী নিহত পারভীনের ভাবী হিমা বেগম ঘটনার পর টেলিফোনে সিলেটে থাকা পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। মাহফুজ চৌধুরী বলেন, ‘সন্ত্রাসী হামলার প্রায় একঘণ্টা পর  হিমা বেগম ফোন করে পারভীন খালার নিহতের খবরটি আমাদের জানিয়েছেন। তখন বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সকাল ১০টা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com