বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া

তরফ নিউজ ডেস্ক : ১৪ জুলাই লর্ডসের দুই টিকিটের একটি পেয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। সেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

১৯৯২ সালের পর থেকে কখনও নকআউটের গেরো কাটাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ২৭ বছর পর তারা উঠেছে সেমিফাইনালে। এবার সেই ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে ফাইনালে যাওয়ার পথ খুঁজছে স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অজিদের সামনে দাঁড়াবে তারা। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি, গাজী টিভি, মাছরাঙা টেলিভিশন ও স্টার স্পোর্টস ১।

ভারত-পাকিস্তানের মতোই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনা থাকে ক্রিকেট ভক্তদের। এজবাস্টনেও সেই উত্তেজনায় ভাসতে অপেক্ষায় দর্শকরা। এই আসরে রাউন্ড রবিন লিগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৪ রানের দাপুটে জয় পায় অজিরা। লর্ডসে পাওয়া ওই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে অ্যারন ফিঞ্চের দল।

এই অস্ট্রেলিয়ার কাছেই টানা হারে খাদের কিনারায় ছিল ইংল্যান্ড। তবে ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চমৎকার প্রত্যাবর্তনে জায়গা করে নেয় শেষ চারে। এই দুটি জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গে করে পুরোনো ইতিহাস বদলাতে চায় ইংলিশরা।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দুই দলের দেখা হয়েছে ৮ বার। যেখানেক অস্ট্রেলিয়া ৬ ম্যাচ জিতে এগিয়ে, আর ইংল্যান্ডের জয় মাত্র দুটি। সবমিলিয়ে ১৪৮টি ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া ৮২টি ম্যাচে জয়, আর ইংল্যান্ড ৬১ বার। দুটি ম্যাচ টাই ও তিনটি পরিত্যক্ত হয়েছে।

পরিসংখ্যানকে পাত্তা দিতে চান না এউইন মরগান, অজিদের সতর্ক করলেন ইংলিশ অধিনায়ক, অস্ট্রেলিয়া আমাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ জিতেছে, এই বিশ্বকাপেও তাদের কাছে আমরা হেরেছি। তবে নকআউট পর্বে আমাদের বিপক্ষে জিততে গেলে তাদের কঠিন লড়াই করতে হবে। ওই ম্যাচে আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আশা করি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমরা সব বিভাগে অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে জিততে পারবো।

ইংলিশ অধিনায়ক আত্মবিশ্বাসী হলেও অস্ট্রেলিয়াকে হারানো এতটা সহজ হবে না মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথম থেকেই ছন্দে রয়েছে অজি ব্যাটসম্যানরা। অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপ রানের পাহাড় গড়ার জন্য যথেষ্ট। এর বাইরে তাদের বোলাররাও আছেন সেরা ছন্দে। মিচেল স্টার্ক-প্যাট কামিন্স জুটি এখন পর্যন্ত ৩৯ উইকেট নিয়েছেন।

অবশ্য বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের পেসাররা অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের চেয়ে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। জোফরা আর্চার-মার্ক উড জুটি নিয়েছেন ৩৩ উইকেট। ইংল্যান্ডের প্রধান শক্তি জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটি। ফলে বার্মিহামের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্যাটে-বলের জমজমাট লড়াই আশা করছেন ক্রিকেট ভক্তরা।

এত কিছুর পর ইংল্যান্ডের জন্য কাজটা মোটেও সহজ হবে না। অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ সাতবার সেমিফাইনাল খেলেই সফল। যদিও ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল তারা টাই করে, শেষ পর্যন্ত রান রেটে এগিয়ে থেকে ফাইনালে চলে গিয়েছিল। তাছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের জয়টিও তাদের বাড়তি অক্সিজেন দেবে বেয়ারস্টোদের বিপক্ষে।

ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার স্কাই স্পোর্টস ঘোষণা দিয়েছে ইংলান্ড ফাইনালে উঠলে তারা সারা দেশে বিনামূল্যে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করবে। এটা থেকেই বোঝা যায়, বিশ্বকাপ নিয়ে স্বাগতিকরা কতটা আবেগপ্রবণ হয়ে আছে। এখন দেখার বিষয় অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ২৭ বছরের আক্ষেপটা দূর করতে পারেন কিনা মরগান-রয়-জোফরারা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com