বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
: পংকজ কান্তি গোপ :
‘জিপিএ-৫ না পেলে সব শেষ। জীবনে আর কিছুই করা যাবে না।’ -এমন ধারনা নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত আপসোস করছ; তাদের কাছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রাতুল দেব একটি উদাহরণ হতে পারে।
সে ২০১৭ সালে স্থানীয় দীননাথ ইনস্টিটিশন সাতকাপন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৪৫ এবং ২০১৯ সালে বাহুবল কলেজ থেকে জিপিএ- ৪.৫৮ পায়। অনেকেই বলেছে এতো কম জিপিএ নিয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে না।
কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে সে এবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করেছে। ‘ক’ ইউনিটে মেধা তালিকায় তার স্থান ৫০। ভাবা যায়! যেখানে ওই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এবার ১হাজার ৭০৩ জনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৭০হাজার ৫৬২জন (সূত্রঃ প্রথম আলো)।
কীভাবে এতো ভালো ফলাফল করা সম্ভব হলো? এক কথায় উত্তর ‘অধ্যবসায়’। আমার প্রতিবেশী ও ছাত্র হওয়ায় কাছ থেকে পড়াশোনার প্রতি তার একাগ্রতা প্রত্যক্ষ করেছি। আশাকরি, রাতুল দেব রুদ্র’র এ ফলাফল তোমাদেরকে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত করবে, ভালো করতে সহায়তা করবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রনজয় দেব ও শিক্ষিকা পান্না দেবের পুত্র রাতুল। রাতুল, নিরন্তর শুভ কামনা তোমার জন্য। এবার দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হও।
লেখক: পংকজ কান্তি গোপ, সহকারী শিক্ষক, পুটিজুরী এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়।