বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

কুলাউড়ায় বন কর্মকর্তার ‘যোগসাজশে’ উজাড় হচ্ছে বন

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সরকারি বনাঞ্চল থেকে অবাধে বৃক্ষ নিধন চলছে। উপজেলার বরমচাল গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে গাছ কাটা। এতে বরমচাল বনবিটের কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, বিগত কয়েক বছর যাবত এসব গাছ কাটার ঘটনা ঘটলেও এবার অবাধে কেটে বন উজাড় করা হচ্ছে।

জানা যায়, বরমচাল বনবিটের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আহমদ আলীর সহযোগিতায় টিলা থেকে কয়েক সপ্তাহ থেকে চলছে অবাধে গাছ কাটা। এই গাছগুলো ক্রয় করছেন উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আহাদ ও বরমচাল ইউনিয়নের সিঙ্গুর গ্রামের আব্দুল হাসিম। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন বন কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও কোনো লাভ হয়নি। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর থেকে এই বনবিট থেকে নানা প্রজাতির গাছ কাটা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, বরমচাল বনবিটের পশ্চিম সিঙ্গুর এলাকায় প্রায় ১৫-২০ একর জায়গা জুড়ে কয়েকটি টিলায় কাটা হচ্ছে ৮-১০ বছর বয়সী আকাশী, বেলজিয়ামসহ নানা প্রজাতির দামি গাছ। একটি টিলার সবক’টি গাছ কেটে তা গাড়ি দিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হলেও গাছের গোড়ার অংশ ও ডালপালার চিহ্ন এখনো পড়ে আছে। আরেকটি টিলায় গাছ কাটা হচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে কর্তনকর্মীরা টিলা থেকে চলে যান। এসময় দেখা যায় ওই টিলায় প্রায় শতাধিক গাছ কেটে তা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এবং আরো শতাধিক গাছ কাটা অবস্থায় টিলায় পড়ে আছে।

ভিডিও ও ছবি তোলার সময় দেখা হয় সফর আলী নামে এক প্রহরীর সাথে। তিনি জানান, সপ্তাহ খানেক থেকে তিনি বনের গাছগুলো পাহারা দিচ্ছেন। কেন পাহারা দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা গাছ ক্রয় করে নিচ্ছেন তারা তাকে দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি দিয়ে রেখেছেন। এসময় গাড়ি দিয়ে গাছ অন্যত্র নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, সোমবার একটি ট্রাক বন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নেয়া হয়েছে। তবে বরমচাল বনবিট অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি ট্রাক বোঝাই সেই গাছগুলো এবং বনবিট কর্মকর্তাকে।

বরমচাল বিটের বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) আহমদ আলী তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পেরে আমি সরেজমিনে গিয়ে তাদের বাধা দেই এবং কিছু গাছ জব্দ করি।

বন বিভাগের কুলাউড়ার রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আমি সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বনবিভাগের সিলেট কার্যালয়ের উপ বন সংরক্ষক এস এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, খোঁজ নিয়ে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com