রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর

আজমিরীগঞ্জে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে ঘর নির্মাণের পায়তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ): আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২ নং বদলপুর ইউনিয়নে পাহাড়পুর বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন তহসিল অফিসের সামনে সরকারি জায়গা দখল কর ঘর নির্মাণের পায়তারার অংশ হিসেবে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে ঢেউটিন ও বাঁশের বেড়া দিয়েছে উক্ত ইউনিয়ন তহসিল অফিসের ঝাডুদার মায়া রানী শুক্ল বৈদ্য ও তার ছেলে রতন শুক্ল বৈদ্য ৷ এনিয়ে এলাকায় জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান ইতিপূর্বেও ইউনিয়ন তহসিল অফিসার সালাম এর নির্দেশে এভাবে কয়েকবার ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে বন্ধ হয়৷কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্হিতির কারণে লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকার সুযোগে আবারও তহসিল অফিসার সালামের আশ্বাসে ঘর তৈরির কাজ শুরু করেন তারা ৷

এ ব্যাপারে পাহাড়পুর বাজার কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুতলাল দাস জানান, ঐ জায়গায় বাজারের গণ শৌচাগার নির্মাণের লক্ষে বাজার কমিঠির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি দরখাস্ত করেছি ৷ খবর পেয়ে আমি গিয়ে মায়া রানীকে বাঁধা প্রদান করলে মায়া রাণী বলেন তহসিলদার সালামের আদেশে এই বেড়া দিচ্ছেন ৷ পরে আমি তহসিলদারকে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি আমার সহকারী নিরুপমকে বিষয়টি দেখার জন্য বলছি৷ কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত সহকারী নিরুপম আসেনি ৷

এ বিষয়ে তহসিলদার সালামের মুঠোফোনে পুনরায় যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ময়লা আবর্জনার জন্য আমি আমার পকেটের টাকা খরছ করে এই বেড়া দিয়েছি ৷

এ ব্যাপারে ঝাড়ুদার মায়া রাণীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি গরীব মানুষ আমার ছেলে বেকার এতোদিন ধরে আমি তহসিল অফিসে কাজ করছি, তাই তহসিলদার সালাম কে আমি বলি উক্ত জায়গায় একটি ঘর নির্মাণ করে আমার ছেলেকে ব্যবসা দিয়ে দিতে চাই তখন তহসিলদার সালাম আমাকে অনুমতি দিলে আমি আমার টাকায় ঢেউটিন ও বাঁশ কিনে আনি ৷ এর মধ্যে কিছু পুরোনো টিন তহসিলদার সালাম আমাকে দেন ৷

এদিকে তহসিলদার আঃ সালামের বক্তব্য অনুযায়ী সরকারি জায়গায় নিজের পকেটের অর্ধলক্ষাধিক টাকার ওপরে খরচ করে বেড়া নির্মান করা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিস্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ৷

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com