রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

হবিগঞ্জের ১৪৩ গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের মুখে

নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জ জেলার ১৪৩ গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাসহ সারাদেশের ৪৩ হাজার বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে জেলা ও মহানগরে এই কার্যক্রম শুরু হবে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়াই যেসব মুক্তিযোদ্ধা সরাসরি মন্ত্রণালয় থেকে সনদ নিয়েছিলেন মূলত এরকম ৪৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই হবে। এসব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে এখন সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই অন্তে জামুকার অনুমোদনক্রমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যদি কেউ থাকেন তাদের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

যাচাই-বাছাইয়ের মুখে থাকা ১৪৯ জনের মধ্যে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৮ জন। তারা হলেন- অসিম কুমার দাস, গৌরাঙ্গ দাস, নির্মল পুরকায়স্থ, উমা কান্ত দাশ, প্রবীর কুমার চক্রবর্তী, শুধাংশু চন্দ্র দাস, এংরাজ মিয়া, মোঃ আশরাফ উদ্দিন।

বাহুবল উপজেলার ১০ জন। তারা হলেন- হাজী আঃ ছোবাহান চৌধুরী, মোঃ সিরাজুল হক চৌধুরী, মোঃ আব্দুল আলম, আব্দুস শহীদ, মোঃ লাল মিয়া, আব্দুল গফুর, মোঃ আসলাম খান, মোঃ আব্দুল জলিল, শ্রী দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য।

বানিয়াচং উপজেলার ১৭ জন। তারা হলেন- আবু লাল দাস, কুতুবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ মস্তফা আলী, উপেন্দ্র বর্মন, লুৎফর রহমান, আলী মোর্তজা চৌধুরী, মৃত সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, আমান উল্লাহ, এস, এম, মস্তফা, গৌরাঙ্গ দাস, গিয়াস উদ্দিন আহমদ, প্রবোধ চন্দ্র দাস, সনাতন দাশ, রজব আলী, আখল আলী, মোহাম্মদ আলী মমিন, মরহুম এসকে জালাল আহমেদ।

চুনারুঘাট উপজেলার ৯ জন। তারা হলেন- মোঃ আজিম উদ্দিন, অনিল মুন্ডা, মোঃ নূরুল হক, মোঃ আব্দুস শহিদ তালুকদার, মোঃ মাশুক মিয়া চৌধুরী, মোঃ শামছুল হক, মোঃ নূরুল আমীন, মোঃ আনোয়ার আলী, মোঃ আবুল বাশার চৌধুরী।

লাখাই উপজেলার ৮ জন। তারা হলেন- মৃত মোঃ নিাম উদ্দিন, আলকাছ মিয়া, হিরা মিয়া, মোঃ কবির মিয়া, মৃত আঃ মজিদ, মৃত মোঃ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, মুহাম্মদ মলিন মিয়া, মোঃ রোস্তম আলী।

মাধবপুর উপজেলার ২৩ জন। তারা হলেন- মৃত ইদল হোসেন, শেখ মোতাহার হোসেন, মোঃ মনির উদ্দিন খাঁন, সম্ভু চন্দ্র পাল, মহারাজ মিয়া খাঁন, মোঃ অন্তর আলী, মোঃ আবুল কাশেম, মৃত নূর ইসলাম, মোঃ আঃ সুবহান, শ্যাম লাল চন্দ্র বিশ্বাস, মোঃ হিরা মিয়া, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ সফর আলী (মুর্তুজ), কাজী আবুল হোসেন, মোঃ আব্দুল লতিফ, সুকোমল রায়, রতি রঞ্জন দাস, আব্দুর রউফ (মুক্তিযোদ্ধা), মোঃ আব্দুল হাই, মরহুম অহিদ হোসেন পাঠান, মৃত মোঃ সুরুজ্জামান ওরফে আলীউজ্জামান, কাজী হেলেন, মোঃ আব্দুর রহিম।

নবীগঞ্জ উপজেলার ৫৯ জন। তারা হলেন- প্রফুল­ রায়, প্রবিন্দ্র কুমার দাস, নোয়াব মিয়া চৌধুরী, নিরঞ্জন দাশ, সাজ্জাদুর রহমান, মীর শিশু মিয়া, জন্মেজয় দাশ, আব্দুল কাইয়ুম, মোঃ দিলবর আলী, মোঃ হুসমত মিয়া চৌধুরী, বাসুদেব দাশ, শচীন্দ্র কুমার দাশ, কৃষ্ণপদ দাশ, মৃত জগৎবন্ধু দাশ চৌধুরী, মৃত অরুন চন্দ্র দাশ, সুলাইমান আলী, ভুবন চন্দ্র দাশ, বীরেশ দাশ, মানিক লাল দাশ, ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাশ, মৃত সফিকুর রহমান, মৃত কনু মিয়া, লুৎফুর রহমান, হামদু মিয়া, শাহ মোঃ সুজন মিয়া, আলহাজ্ব মুর্শেদ-ইউ-জামাল (রসিদ), মোঃ আঃ গফুর, গেদু, মিয়া, সুখময় বৈষ্ণব, শাহ মুবাশ্বির আলী, মোঃ ছাদিক মিয়া, মোঃ জগবন্ধু বিশ্বাস, মৃত আব্দুস ছোবাহান, মোঃ আব্দুল মজিদ, প্রসাদ চন্দ্র দাস, সুদর্শন দাশ, বরদা চরন দাশ, আশুতোষ দাশ, মৃত অভিমান্য দাশ, মৃত পরেশ চন্দ্র দাশ, মৃত অমৃকা বৈষ্ণব, অমিরন দাশ, সমীরন অধিকারী, আব্দুস সবুর চৌধুরী, জোতিময় দাশ, কামদেব দাশ, মৃত মতিলাল পুরকায়স্ত, মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী, মৃত আব্দুল হক (খুসী), কৃপাসিন্দু রায় চৌধুরী, প্রমথ নাথ দাশ, মৃনাল কান্তি রায়, মোঃ ছুরত আলী, নিতাই চাঁদ দাশ, মৃত সফর আলী, মোঃ মনসুর ঘোরী (জিতু মিয়া), মৃত আজিম উল­াহ, মোঃ আবুল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম খান।

হবিগঞ্জ সদরের ৯ জন। তারা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, মোঃ গোলাম মোস্তফা, মোঃ আইয়ুব আলী, আঃ মজিদ ননু, গোলাম মোস্তফা রফিক, মোঃ আব্দুর রব, রনবীর কুমার পাল চৌধুরী, মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল আহাদ।

যাচাই কমিটিতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর প্রতিনিধি, জামুকার প্রতিনিধি, সংসদ সদস্য কর্তৃক প্রতিনিধি জেলা প্রশাসক, নির্বাহী কর্মকর্তা বা এডিসি থাকবেন। স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে এই যাচাই-বাছাই নিষ্পন্ন করতে হবে। এভাবে বিস্তারিতভাবে জেলা-উপজেলা ও মহানগর কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাই সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, লাল মুক্তিবার্তায় নাম না থাকা, ভারতীয় তালিকায় নাম না থাকা এবং জামুকার সুপারিশ ছাড়া যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের চিহ্নি??ত করে বাদ দিয়ে একটি পরিশুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়ন করাই এর উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, যারা দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে থেকে নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা হবেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক কর্মী, সাধারণ মানুষ, সাংস্কৃতিক-সামাজিক নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও থাকবেন। কিন্তু সব ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণ থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের ৭ (ঝ) ধারা অমান্য করে সনদ নিয়েছেন তারা অবশ্যই বাদ পড়বেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com