বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: নিয়ম মেনেই পহেলা বৈশাখ, লকডাউনের প্রথমদিন পার করছেন শ্রীমঙ্গলের মানুষ। আজ পহেলা বৈশাখ বাঙালির আনন্দের দিন । এ দিনে ঘরে বাহিরে উৎসবের আমেজ থাকার কথা ছিলো। দেশে হঠাৎ করে করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সরকার ভাইরাসটি প্রতিরোধে নতুন করে সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করে। সরকারের ঘোষিত সাতদিনের কড়াকড়ি লকডাউনের আজ প্রথমদিন।
দিনটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়িতেই কাটিয়েছেন মানুষ। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হয়নি। গতকাল যে শহরে যানজটে আর লোকজটে ছিল নাকাল, আজ এর চিত্র ভিন্ন। শহর ছিল একেবারে সুনসান নিরব। সড়ক গুলোতে মালবাহী কিছু গাড়ি ছাড়া আর অন্য কোন যানবাহন চোখে পড়েনি। শহরের ভেতরে দুই একটি রিকসা চলাচল করতে দেখা যায়। মোটরসাইকেল, প্রাইভেট গাড়ি নেই বল্লেই চলে।
সকালে উপজেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক শহর ঘুরে কঠোর লকডাউন পালন করতে জনসাধারণকে অনুরোধ জানান, পরে আবার মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান (ডিসি) শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন, এসময় সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন সহ প্রশাসনের অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে সরকারের বেধেঁ দেওয়া স্বাস্থ্যিবিধির ১৮দফা অমান্য ও লকডাউন চলাকালীন কাঁছাবাজার-নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালের পাইকারি ও খুচরা দোকান বিকেল ২টায় বন্ধ করার কথা থাকলেও আইন অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৭টি মামলায় ১২হাজার আটশত টাকার অর্থদন্ড প্রদান করেন। সব মিলিয়ে প্রশাসন একটি কঠোর লকডাউন প্রতিপালন করতে মাঠে কড়া নজরদারি রেখেছে।
এদিকে বিকেল আড়াইটায় চৌমুহনী চত্তরে গিয়ে দেখা যায়, সর্বত্র লকডাউনের ডাউন চিত্র। তিনজন ট্রাফিক পুলিশ অলস বসে সময় পার করছেন, মাঝে মধ্যে যদি একটি টমটম আসে তাদের দিকে ছুটে যাওয়া ছাড়া আর কোন কাজই নেই তাদের আজ। এ চিত্র ছিলো শ্রীমঙ্গলে পহেলা বৈশাখ ও লকডাউনের প্রথম দিনের।
সচেতন ও বিজ্ঞমহলের ধারণা আজকের মতো কঠোর ভাবে যদি সাতটি দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ ঘরে থাকে, তবে অনেকটা নেমে আসবে করোনা আক্রান্তের হার ও মৃত্যুহার। করোনাভাইরাস রোধে সরকা ঘোষিত লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকলেই সম্ভব করোনাভাইরাসকে হারিয়ে দেওয়া।