বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর পল্লবীতে সাহিনুদ্দিন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালকে চারদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে গোয়েন্দা পুলিশ।
মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি শুক্রবার আউয়ালের সঙ্গে আরো দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আউয়ালের সঙ্গে যে দুইজন রিমান্ডে গেছেন তারা হলেন নূর মোহাম্মদ হাসান (১৯) এবং জহিরুল ইসলাম বাবু ওরফে লাবু (২৭)। এদের মধ্যে লাবু মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এম এ আউয়ালকে এদিন আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন আইনজীবী আব্দুল বাতেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেন দেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে ভৈরবের একটি মাজার থেকে সাবেক এমপি এম এ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়াল হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের এমডি।
গত ১৬ মে বিকালে পল্লবী ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর সড়কে সাহিনুদ্দীন (৩৪) নামের এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহতের মা পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, সেখানে প্রধান আসামি করা হয় আউয়ালকে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, পল্লবীর আলীনগর এলাকায় তাদের প্রায় ১০ একর জমি জবরদখলের পাঁয়তারা করছিল আসামিরা। এর জের ধরেই তারা তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
সাহিনুদ্দিন হত্যার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মানিক শুক্রবার ভোরে মিপুরে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।