বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারির সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ আগামীকাল রবিবার শেষ হচ্ছে। এই বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়ানো হবে কি না এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত জানায়নি সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চলমান বিধিনিষেধ চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সুপারিশ থাকলেও বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর। আগামীকাল রবিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সিদ্ধান্তের কথা জানাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, বিধিনিষেধ আরও সাত দিন বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে কারিগরি পরামর্শক কমিটি বিধিনিষেধ বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করেনি। এতে সরকারি সিদ্ধান্ত কী হবে সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।
বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়ছে নাকি উঠে যাচ্ছে, এ ব্যাপারে শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিধিনিষেধ বাড়বে কি না- এ রকম কিছুই বলা যাবে না। আমরা কিছুই বলতে পারছি না। বিষয়গুলো পর্যালোচনা চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। এখন সবগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
ঈদের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সতর্কতা আগে থেকেই ছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে বিধিনিষেধ চালিয়ে আসছি। সবকিছু চিন্তাভাবনা করেই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
দূরপাল্লার গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি রয়েছে, এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত আসবে। তবে অবশ্যই বড় রকমের ঝুঁকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে।’
এর আগে গত ১৭ মে সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখার পক্ষে মতামত তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা এই বিধিনিষেধ আরও বাড়ানোর সুপারিশ করব। সেখানে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রুখতে সীমান্ত বন্ধ রাখাসহ দূরপাল্লার বাস-লঞ্চ-ট্রেন বন্ধ রাখার প্রস্তাব আমাদের থাকবে।’
পরদিন ১৮ মে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিধিনিষেধের মেয়াদ নতুন করে বাড়ানোর কোনো সুপারিশ করেনি। তারা এ ক্ষেত্রে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ অনুসরণের ওপরে জোর দিয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করলে গত ৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সপ্তাহখানেক পরে ১৪ এপ্রিল থেকে আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। তিন দফায় সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত।