বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

এগোচ্ছে ‘ইয়াস’, উপকূলজুড়ে উদ্বেগ

তরফ নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারিতে দেশ যখন বিপর্যস্ত তখন আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। আগামী বুধবার নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ইয়াস ঠিক কোন এলাকায় আঘাত হানবে, গতি-প্রকৃতি কী হবে সেটা এখনও নির্ণয় করতে পারেনি আবহাওয়া অফিস। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় যে আঘাত হানবে সেটা প্রায় নিশ্চিত।

ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে উপকূলীয় জেলাগুলোতে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। অতীতের আইলা, সিডর ও আম্পানের মতো ঘূর্ণিঝড়গুলোর দুঃসহ স্মৃতি তাদের চোখের সামনে ভেসে উঠছে। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে সরকারের প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।

গত শনিবার উত্তর আন্দামান সাগর এবং আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়। এটি ইতিমধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘ইয়াস’। নামটি দিয়েছে ওমান। আরবি ভাষায় ইয়াস অর্থ হতাশা।

পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের বার্তায় রবিবার বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ পারাদ্বীপ এবং সাগর দ্বীপের মাঝে কোনো এলাকায় আছড়ে পড়বে ইয়াস। মঙ্গলবার অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এটি। ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ইতিমধ্যে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। পর্যায়ক্রমে সতর্ক সংকেত বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

রবিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যা ও বিহার উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশের খুলনা উপকূলেও আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘ইয়াস’ টানা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা তাণ্ডব চালাতে পারে। এ সময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় গড়ে ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার তিন গুণ আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রাণহানি যেন শূন্যের কোটায় থাকে সেই চেষ্টা তারা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রবিবার ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com