মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রেলের টিকিট কালোবাজারি রোধে শায়েস্তাগঞ্জে র‍্যাবের অভিযান, ৪ যাত্রীকে জরিমানা বাহুবলে চোরাই গরু ও গাড়িসহ এক ব্যক্তি আটক  ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় প্রচার উপকমিটিতে দায়িত্ব পেলেন বাহুবলের সন্তান মিনজাব ছাহাম বাহুবলে বাঁশঝাড় থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার মাধবপুরে জেলা জামায়াতের গাড়ীবহরে হামলা বাহুবলে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন বাহুবলে ‘ওয়াশব্লক’ প্রকল্পের কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ বাহুবলে গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু অলিপুর থেকে ৭০ কেজি গাঁজা উদ্ধার

ছয় গ্রেডে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ল

তরফ নিউজ ডেস্ক : পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৈষম্য দূর করতে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করেছে সরকার। শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরির কয়েকটি গ্রেডে আশানুরূপ মজুরি বৃদ্ধি না পাওয়ায় পোশাক শিল্পের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার গ্রেডগুলোর মজুরি সমন্বয় করেছে বলে শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আজ রোববার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মজুরি সমন্বয়ের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিতি ছিলেন। এই বৈঠকে মালিক-শ্রমিক ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কাঠামোতে চিকিৎসা, যাতায়াত,বাড়িভাড়া বাড়ানো ছাড়াও মূল মজুরির সঙ্গে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। এই নতুন কাঠামো ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। বাড়তি মজুরি ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হবে।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রথম গ্রেডের একজন কর্মী এখন থেকে সব মিলিয়ে ১৮ হাজার ২৫৭ টাকা বেতন পাবেন। ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে এই গ্রেডের মজুরি ছিল ১৩ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে নতুন মজুরি কাঠামোর গেজেটে তা ১৭ হাজার ৫১০ টাকা করা হয়েছিল।

দ্বিতীয় গ্রেডের সর্বমোট বেতন ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪১৬ টাকা। ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে এই গ্রেডের বেতন ১০ হাজার ৯০০ টাকা এবং ২০১৮ সালে মজুরি কাঠামোর গেজেটে তা ১৪ হাজার ৬৩০ টাকা ছিল।

তৃতীয় গ্রেডের সর্বমোট বেতন ঠিক হয়েছে ৯ হাজার ৮৪৫ টাকা, যা ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে ৬ হাজার ৮০৫ টাকা এবং ২০১৮ সালের গেজেটে ৯ হাজার ৮৪৫ টাকা করা হয়েছিল।

চতুর্থ গ্রেডের সর্বমোট বেতন ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩৪৭ টাকা। ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে এই গ্রেডের বেতন ৬ হাজার ৪২০ টাকা এবং ২০১৮ সালে মজুরি কাঠামোর গেজেটে তা ৯ হাজার ২৪৫ টাকা করা হয়েছিল।

পঞ্চম গ্রেডে সর্বমোট বেতন ঠিক হয়েছে ৮ হাজার ৮৭৫ টাকা, যা ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে ৬ হাজার ৪২ টাকা এবং ২০১৮ সালের গেজেটে ৮ হাজার ৮৫৫ টাকা করা হয়েছিল।

ষষ্ঠ গ্রেডের সর্বমোট বেতন ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২০ টাকা। ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোতে তা ছিল ৫ হাজার ৬৭৮। আর ২০১৮ সালে মজুরি কাঠামোর গেজেটে তা করা হয়েছিল ৮ হাজার ৪০৫ টাকা করা হয়েছিল।

আর সপ্তম গ্রেডের মজুরি সব মিলিয়ে গেজেটের মতোই আট হাজার টাকা রাখা হয়েছে। ২০১৩ সালের কাঠামোতে সর্বনিম্ন গ্রেডের বেতন ছিল ৫৩০০ টাকা।

বৈঠকে সংসদ সদস্য সালাম মুর্শিদী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সাবেক বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি আতিকুল ইসলাম, হামিম গ্রুপের চেয়ারম্যান একে আজাদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, জাতীয় শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামছুন্নাহার ভূইয়া, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, ইন্ড্রাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন এবং শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষসহ মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বৈঠকে অংশ নেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com