নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ চা-গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) সংলগ্ন আধা কিলোমিটার দীর্ঘ রঙিন রাস্তাটি এখন পর্যটকদের জন্য এক নতুন আকর্ষণ। সবুজ চা বাগানের বুক চিরে বয়ে চলা সড়কটির উভয়পাশে আঁকা হয়েছে নানা রঙের আল্পনা।

সবমিলিয়ে প্রকৃতি ও শিল্পের অপূর্ব সম্মিলনে গড়ে ওঠা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার অন্যতম ব্যস্ততম ভানুগাছ রোডের বিটিআরআই পয়েন্ট থেকে বিটিআরআই ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি যেন ‘রঙিন রাস্তা’র এক মুগ্ধকর পরিবেশ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রঙিন এই সড়কে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ প্রিয়জনের হাত ধরে হাঁটছেন, কেউবা পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে ছবিতে বন্দি করছেন এই নান্দনিক দৃশ্য। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ।

জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং পর্যটকদের জন্য একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা তৈরি করাই প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য।

স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ শ্রীমঙ্গলের চা-ভিত্তিক পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তাদের মতে, এমন প্রকল্প যদি নিয়মিতভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, তবে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হতে পারে শ্রীমঙ্গল।

স্থানীয় পর্যটক রায়হান, রিপন, মাসুস ও মাহি নামে কয়েকজন যুবক জানান, নিজ শহরের রাস্তায় এভাবে রঙিন আল্পনা আর শিল্পকর্ম দেখে তারা মুগ্ধ। এটি শহরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

সব মিলিয়ে শ্রীমঙ্গলের এই ‘রঙিন রাস্তা’ এখন আর কেবল যাতায়াতের পথ নয়—এটি হয়ে উঠেছে একটি ‘ভিজ্যুয়াল ল্যান্ডমার্ক’ এবং নতুন প্রজন্মের জন্য এক শিল্প-পর্যটন গন্তব্য।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘শ্রীমঙ্গল একটি পর্যটননির্ভর উপজেলা। পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দময় করতে এবং শহরকে পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিকভাবে সাজাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে যেমন শহরের সৌন্দর্য বেড়েছে, তেমনি পর্যটকদের আকর্ষণও বৃদ্ধি পেয়েছে।’