বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) থেকে : বানিয়াচংয়ে অনুষ্ঠিতব্য মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ডাক পড়েনি বানিয়াচংয়ের জীবিত দুই সহোদর ভাষা সৈনিকের। তারা হলেন- বানিয়াচং উপজেলা সদরের মিয়াখানী মহল্লার বাসিন্দা এডভোকেট সদাকত আলী খান ও এডভোকেট শওকত আলী খান।
এর আগে ২০০৯ সালে এই দুই সহোদরকে সম্মাননা জানিয়েছিল উদীচী বানিয়াচং শাখা। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে সম্মাননা জানানো হয়। তাও এক সাংবাদিকের দাবির প্রেক্ষিতে। এর পর থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত তাদেরকে সম্মাননা তো দেয়ার কথা এমনকি আমন্ত্রণ ও জানায়নি প্রশাসন। দুই ভাষা সৈনিকের প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের এমন উদাসীনতায় তাদের স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ভাষা সৈনিক শওকত আলী খানের নাতনী শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ফাহমিদা খান ঊর্মি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন“এবারো প্রশাসনের একুশের অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাননি বানিয়াচংয়ের ভাষা সৈনিকেরা”। তার এই পোস্টে অনেকেই ক্ষোভ জানিয়েছেন। কেউ কেউ দু:খজনক বলেও কমেন্ট করেন।
এ বছরের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত বা কোনো ধরণের চিঠি পাননি বলে জানান ভাষা সৈনিক এডভোকেট শওকত আলী খানের পুত্র চাকরিজীবি মাহবুব আলী খান।
ভাষা সৈনিক শওকত আলী খান বয়সের ভাড়ে ন্যুব্জ হয়ে গ্রামের বাড়িতেই বসবাস করছেন। বয়সের কারণে তিনি চলাফেরা কমিয়ে দিয়েছেন। অপর দিকে আরেক ভাষা সৈনিক সদাকত আলী খান হবিগঞ্জের বাসভবনে পরিবারের সাথে বসবাস করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। এই দুই ভাষা সৈনিকের পারিবারিক সুত্র জানায়-বিগত ৫ বছর পূর্বে বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসন মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে এই দুই সহোদরকে সম্মাননা জানানো হয়েছিল। এর পর থেকে আর কোনো খোঁজ-খবর নেয়া হয়নি। ভাষা আন্দোলনে দুইজনের অসামান্য ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকার বলেন-প্রতি বছরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে চিঠি দেয়া হয়। তারা অনুষ্ঠানে আসেননি।