শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

স্পিনারদের দাপটে ক্যারিবীয়দের হারালো বাংলাদেশ

তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : নবম উইকেট জুটিতে সুনীল ‍অ্যামব্রিস ও জোমেল ওয়ারিকান ৬৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ শিবিরকে। তবে মিরাজ এই জুটিকে আর সুযোগ দেননি। ওয়ারিকানকে সাকিবের ক্যাচে বিদায় করে স্বস্তি ফেরান। এরপরেই তাইজুল অ্যামব্রিসকে ফেরালে জয় উদযাপনে মাতে টাইগাররা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ-৩২৪ ও ১২৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-২৪৬ ও ১৩৯

চট্টগ্রাম টেস্টে স্পিনারদের দাপটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৪ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিন মাত্র ২০৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই খাবি খেতে হয় ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের। দলীয় ১১ রানেই ৪ উইকেট হারায় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট পাওয়া সাকিব আল হাসান প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক গড়েন। এছাড়া সবচেয়ে দ্রুত সমেয় টেস্টে ৩ হাজার রান ও ২০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তিতে পেছনে ফেলেন ইংল্যান্ড গ্রেট ইয়ান বোথামকে।

 সাকিব, মিরাজ, নাঈমরা দারুণ বোলিং করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মূলত জ্বলে ওঠেন প্রথম ইনিংসে এক উইকেট পাওয়া তাইজুল ইসলাম। একে একে তুলে নেন ৬টি মূলবান উইকেট। তার শিকারে ছিলেন উইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, রোস্টন চেজ, শেন ডোওরিচ, দেবেন্দ্র বিশু, কেমার রোচ ও সুনীল ‍অ্যামব্রিস।

স্বাগতিক স্পিনে ধুঁকতে থাকা ক্যারিবীয়দের হয়ে মাঝে কিছুটা আলো দেখান শিমরন হেটমায়ার। তবে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকলে তাকে মাঠ ছাড়া করে সমর্থকদের মুখের হাসি ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ১৯ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ করেন হেটমায়ার।

পরে অষ্টম উইকেট জুটিতে ফের সফরকারীদের হয়ে নিশান ওড়াতে থাকেন অ্যামব্রিস ও ওয়ারিকান। তাদের জুটিতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ফের মিরাজ ম্যাজিক। ওয়ারিকানকে সাকিবের তালুবন্দি করে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফেরান। দলীয় এক রান যোগ করার পর তাইজুল অ্যামব্রিসকে বিদায় করলে জয়ের আনন্দে উল্লাস করে সাকিববাহিনী। ১৩৯ রানে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় তাদের।

অ্যামব্রিস ৬২ বলে ৪টি চারে ৪৩ করেন। আর ৪৭ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৪১ করেন ওয়ারিকান। এ দু’জন ও হেটমায়ার ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

৬ উইকেট নেওয়া তাইজুল ক্যারিয়ারে সপ্তমবার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিলেন। দুটি করে উইকেট পান সাকিব ও মিরাজ।

 এর আগে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তৃতীয় দিন মাত্র ৭০ রান যোগ করতেই ১২৫ রানে অলআউট হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে বিশু ৪ উইকেট নেন। ৩টি উইকেট পান চেজ।

বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরিতে ৩২৫ রান করেছিল। জবাবে ২৪৬ করলে প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়া নাঈম হাসান সবচেয়ে কম বয়সী হয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন।

 

দারুণ সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরা হন মুমিনুল

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com