সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর

হাতে গড়া ছাত্রনেতাদের চলে যাওয়া কষ্টের: শেখ হাসিনা

তরফ নিউজ ডেস্ক : জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সদ্য প্রয়াত আব্দুল মান্নানের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার মতো মেধাবী ও দক্ষ ছাত্রনেতাদের চলে যাওয়ায় শুধু দল নয়, দেশের জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সংসদের অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রয়াত আব্দুল মান্নানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে একটা কষ্ট নিয়ে এখানে দাঁড়াতে হলো। পরপর তিনজন সংসদ সদস্য চলে গেলেন। আব্দুল মান্নানকে আমি ছাত্রলীগের সভাপতি করেছিলাম। তখন ছাত্রলীগের সভাপতি করার আগে আমি ডেকে ইন্টারভিউ নিতাম। আমি জিজ্ঞাসা করতাম সভাপতি না বানালে কী করবে?

‘তখন অনেকেই হাউমাউ করে কেঁদে দিতো। কিন্তু মান্নানকে জিজ্ঞাসা করলে সে বললো না বানালে কিছু করার নেই, আপনার সঙ্গে রাজনীতি করবো। আমি তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম তাকে সভাপতি বানাবো।’

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ঠিক মৃত্যুর দুইদিন আগে আমার সঙ্গে তার অনেক কথা হলো। আমাদের সেন্ট্রাল কমিটিতে নানক (জাহাঙ্গীর কবির নানক) আসছে, ও আসতে পারেনি। এ নিয়ে বোধহয় হয় মনে একটু দুঃখও ছিল।

‘আমি তাকে বললাম, আমি তো তোমাদের কাউকে ফেলে দিইনি। তুমি আওয়ামী লীগের ছিলে, তোমাকে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দিয়েছি, তুমি সংসদ সদস্য হয়েছো। আমরা মনে হয় মান্নানের শরীরটাও একটু খারাপ ছিলো। তাকে ভালোভাবে চিকিৎসা করানোর কথা বললাম।’

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হলো। আমিও প্রতিদিনই ডা. সোহরাবের সঙ্গে কথা বলতাম। ওইদিন ডা. বললেন- অবস্থা ভালো না। আমি বলেছিলাম, যদি বাইরে পাঠাই। কিন্তু সে অবস্থায় নেই বলে জানালেন চিকিৎসক। এর পরদিনই মৃত্যুর খবর।

‘মান্নান ছাত্রজীবন থেকেই আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা বিরোধী আন্দোলন করেছে। প্রতিটি আন্দোলনেই ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। একটা বৈরী পরিবেশে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দেশের উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এই আন্দোলন সংগ্রামে যেসব ছাত্রনেতা ভূমিকা রেখেছে তাদের অনেকেই আমাদের মাঝ থেকে চলে যাচ্ছে, এটা অত্যন্ত কষ্টের ও বেদনার,’ বলেন শেখ হাসিনা।

প্রয়াত মান্নানকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাতে গড়া ছাত্রনেতারা যখন চলে যাওয়ার খবরে এটা সত্যিই আমার জন্য খুবই কষ্টকর। মান্নান এভাবে চলে যাবে ভাবতেও পরিনি। ছাত্রনেতারাই নেতৃত্ব দেবে আওয়ামী লীগের।

‘ভবিষ্যতে যখন আমরা থাকবো না, এরাই সামনের দিকে আওয়ামী লীগকে নিয়ে যাবে। এদের চলে যাওয়া শুধু দলের জন্য নয়, দেশের জন্যও অপপূরণীয় ক্ষতি,’ বলেন তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com