বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

মেয়াদ পূর্তির পরও গাছ কাটতে বন বিভাগের টালবাহানা

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মেয়াদ পূর্তির পরও বন বিভাগ থেকে সামাজিক বনায়নের গাছ না কাটায় জীবিকা নির্বাহে ঋণগ্রস্থ হয়ে পরেছেন উপকারভোগীরা। উপকারভোগী দরিদ্র জনগোষ্ঠীতাদের সর্বস্ব দিয়ে এই বনায়ন সৃজন করেছেন। কিন্তু বন বিভাগের টালবাহানায় দীর্ঘ উনিশ মাস ধরে গাছ গুলো কাটা হচ্ছেনা।

দীর্ঘ ১০ বছর বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ তুলে তারা জীবিকা নির্বাহ করে পরিবার পরিজন নিয়ে এসব গাছ পরিচর্যা ও পাহারা দিয়ে এ পর্যায়ে নিয়ে আসেন। আশা ছিল লভ্যাংশের টাকা দিয়ে সেই ঋণ পরিশোধ করবেন। কিন্তু তাদের সেই আশায় এখন গুড়েবালি। দু’চোখে অমানিষার অন্ধকার দেখছেন তারা।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই কষ্টের কথা জানান উপকারভোগীর পক্ষে মো. গোলাম মোস্তফা।

তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, তারা কালাপুর গ্রামের ৩১ জন উপকারভোগী ২০০৭-২০০৮ সালে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের নিয়ন্ত্রণে ৩০.৩৭ হেক্টর ভূমিতে প্রায় ৭ হাজার বনজ, কৃষিজ, ফলজ বৃক্ষ রোপণ করেন। চুক্তিকালে ওই বনে চার বছর বয়সী কিছু বৃক্ষ আগেরও লাগানো ছিল। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের ১ জুলাই। চুক্তি অনুসারে ১০ বছর পর এসব গাছ কর্তণ করে বিক্রয় করবে বন বিভাগ। এ বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৪৫% বন অধিদপ্তর, ৪৫% উপকারভোগী আর বাকি ১০% ট্রি ফার্মিং ফান্ডে জমা হবার কথা ছিলো।

তিনি জানান, বনবিভাগের সাথে তাদের সামাজিক বনায়নের চুক্তি হবার পর থেকেই তারা গাছ ও সরকারের সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষায় নিজেদের অর্থে নৈশ চৌকিদার নিয়োগ করেন। উপকারভোগীরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে দিন-রাত পাহারা দেন। গত ১০ বছরে এই বনবিটের তাদের সামাজিক বনায়র্নী বা পুরাতন গাছ চুরির কোন রেকর্ড নেই।

তাছাড়া তাদের সামাজিক বনায়ন বা বাফার জোনে বনের প্রাণিদের খাদ্য যোগান দেয় এমন গাছ থেকে থাকলে তা না কেটে অন্য গাছ গুলো কাটার জন্য তারা স্থানীয় বন বিভাগকে বলেছেন। কিন্তু বন বিভাগ গাছ কাটতে টালবাহানা করছে। উপকারভোগী দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের সর্বস্ব দিয়ে এই বনায়ন সৃজন করেছেন। এটিকে কেন্দ্র করেই তাদের জীবন-মান পরিচালিত। অনেকেই বাগান রক্ষা করতে নানা সমিতিসহ বিভিন্নভাবে ঋণগ্রস্থ হয়েছেন। এসব ঋণের শোধ করতে অনেক ৪৫% টাকার অপেক্ষায় দিনানিপাত করছেন। দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে নানা অজুহাতে তাদের সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তন না করায় অনেক পরিবার এখন প্রায় নিঃস্ব হয়ে পরেছেন।

তাই বন ও পরিবেশমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিকট তারা দ্রুত গাছ গুলো কাটার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আকুল আবেদন জানান। একই সঙ্গে বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে সুদৃষ্টি করেন। সংবাদ সম্মেলনে ৩১জন উপকারভোগী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘উপকারভোগীরা ন্যাচারাল গাছের ভেতরই বাগান করেছিল। এখন যদি তারা ন্যাচারেল গাছ রেখে তাদের সৃজন করা গাছ কাটতে চায় তাহলে আমাদের কোন অসুবিধা নেই। তারা বন বিভাগের বরাবর আবেদন দিলেই আমরা কাটতে দেব।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com