মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ঢাকা এবং দিল্লী একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিকেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করলে উভয়ে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাসসকে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার বিকেল ৫ টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে তাঁকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে বাংলা নববর্ষ এবং পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং জনগণকে মাহে রমজানের মোবারকবাদ জানান।
১২ মিনিটের টেলিফোন কথপোকথনে উভয় নেতা করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় দুই দেশের সরকারের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের উল্লেখ করেন। প্রয়োজনে উৎপাদন বৃদ্ধিতে উভয়ে একযোগে কাজ করবে বলেন প্রেস সচিব।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আশংকা এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হতে পারে। ‘কাজেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই অঞ্চলের সকল দেশের একযোগে কাজ করতে হবে,’বলেন প্রধানমন্ত্রী।
উভয় প্রধানমন্ত্রীই করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় উভয় দেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং এ বিষয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে তাঁদের অঙ্গীকারও পুণর্ব্যক্ত করেন।
উভয় প্রধানমন্ত্রীই করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে গত মাসে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে গৃহীত সার্ক ভুক্ত দেশগুলোর উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সম্মত হন।
শেখ হাসিনা এ সময় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ঔষধ এবং অন্যান্য মেডিকেল সামগ্রী পাঠানোয় নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাও জানান, বলেন প্রেস সচিব।
নয়া দিল্ল থেকে বাসস প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার কয়েক মিনিট পর মোদি এক টুইট বার্তায় বলেন, তিসি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কোভিড-১৯ নিয়ে এবং এই মহামারিটির বিপক্ষে ভারত-বাংলাদেশ কিভাবে লড়াই করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এক বার্তায় মোদি বলেন, ‘তাঁকে ও বাংলাদেশের জনগনকে পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা কথা বলেছি। আমরা কোভিড ১৯ পরিস্থিতি এবং ভারত-বাংলাদশ এ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকবে।’
এ দিকে নয়া দিল্লিতে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে দুই নেতা কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং নিজ নিজ দেশে এর প্রভাব নিরসনে যে মকল পদত্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে সে সম্পর্কে একে অপরকে অবহিত করেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়. উভয় নেতা সার্ক ভুক্ত দেশসমুহের নেতাদের মধ্যে ১৫ মার্চ বিশেষ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে অগ্রগতিতে সন্তোশ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সার্ক কোভিড ১৯ জরুরি তহবিলের জন্য দেড় বিলিয়ন ডলার দান করায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কেষ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।