সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল করে ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবীতে ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে নতশির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়াও মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে অংশগ্রহন করে বাংলাদেশ গার্লস গাইড ক্লাব, ইনার হুইল ক্লাব, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ শ্রীমঙ্গল শাখা।
রবিবার (১১অক্টোবর) সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্বরে উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় ও সহ-সভাপতি শামীম আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে একটি শান্তিপুর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সারাদেশে নারী নির্যাতনের এ ঘটনায় তারা নিজেরাই লজ্জিত মর্মে সকলে মাথা নত করে মানববন্ধনে অংশনেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্লস গাইড ক্লাব শ্রীমঙ্গল এর কমিশনার প্রভাসিনী সিনহা, শ্রীমঙ্গল সন্ধানী শিল্পীগোষ্টীর সভাপতি দেবব্রত দত্ত, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির নেতা সৈয়দ আমিরুজ্জামান, সাংবাদিক দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, এশিয়ান টিভির শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ প্রতিনিধি এসকে দাস সুমন, বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি ইমন দেব চৌধুরী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত শুভ্র চক্রবর্তী, সাংবাদিক সুমন বৈদ্য, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েক আহমেদ, মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি সঞ্জয় দে, ইনার হুইল ক্লাবের উপদেষ্টা ও গার্লস গাইড ক্লাব যুগ্ন সম্পাদক রীতা দত্ত, শিক্ষক নেত্রী রহিমা বেগম, ইনার হুইল ক্লাবের সভাপতি দিল আফরোজ, মহিলা পরিষদের সাধারন সম্পাদক উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান জয়শ্রী চৌধুরী শিখা, সেন্ট মার্থাস স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা দিপ্তী চক্রবর্তী, কুশমী গোস্বামী, শিক্ষার্থী পায়েল গোস্বামী, কেয়া পাল, প্রিয়াংকা গোস্বামী প্রমুখ।
মানববন্ধনে নারী নেত্রীরা বলেন, এদেশে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই আমাদের নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনায় নেবেন। ইদানিং কিশোর বয়সী অনেকেই অনলাইনে না বুঝে অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। টিকটক, ফেসবুক ইত্যাদির মাধ্যমে যা করছে সেটাকে সে অপরাধ মনে করছে না। পরিবার সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করতে পারছে না। ক্ষমতাশালী অপরাধিদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইনের সাথে সমাজের মূল্যবাধ, রীতিনীতি, অর্ডার সেগুলোর সাথে যোগসাজস থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, ধর্ষকদের অন্য কোনও পরিচয় বিবেচ্য নয়, সে স্রেফ ধর্ষক। তবে, কোন মাতৃগর্ভেই ধর্ষক বা অপরাধী জন্মায় না। অপরাধী সৃষ্টি হয় সমাজে। পরিবার যদি সন্তানকে মূল্যবোধের দীক্ষা না দিতে পারে, শিক্ষক যদি নৈতিক ভিত্তি করে শিক্ষা দিতে না পারে তাহলে একটি প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে, সুতরাং – সবার আগে সমাজের অবক্ষয় দূর করার প্রয়াস নিতে হবে, শুধু বিচার বা পুলিশিং নয়, কাউন্সিলিং এর পরিধি বাড়াতে হবে। যাতে ধর্ষক সৃষ্টি হতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে, কেউ ধর্ষক হউক তা আমরা চাই না, ধর্ষক হওয়ার পর সঠিক ও দ্রুত বিচার যেমন প্রয়োজন তেমনি যাতে কোনও মায়ের ছেলে সন্তান ধর্ষক না হয় সে সুত্রও আমাদের বের করতে হবে।