বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বড়লেখায় ব্যানার-পোস্টারের দখলে বৃক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থীদের দুই বার জরিমানা করেও কোনো কাজ হয়নি। নিজ প্রচারণার স্বার্থে হাট-বাজারসহ রাস্তার দুই পাশের গাছও ব্যানার ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে। আইনকে তোয়াক্কা না করেই যে যার ইচ্ছেমতো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দেয়াল ও বিদ্যুতের খুঁটিতে এবং নির্ধারিতের চেয়ে বড় আকারের পোস্টার ও ব্যানার টাঙানোর দায়ে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরীকে পাঁচ হাজার, বিএনপির প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামকে পাঁচ হাজার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইদুল ইসলামকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া, একই অভিযোগে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ২১ কাউন্সিলর প্রার্থীকে দুই হাজার টাকা করে মোট ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সবাইকে পরদিন দুপুর ১২টার মধ্যে অবৈধ পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, কেউই তা সরায়নি।

বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালন মনিটরিং ও নিশ্চিতকরণে গত ২১ ডিসেম্বরেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সে সময় সংরক্ষিত আসনের তিন জন নারী প্রার্থীসহ মোট পাঁচ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে বিধিবহির্ভূতভাবে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মোট সাড়ে ১১ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় ও সতর্ক করা হয়। অন্যান্য প্রার্থীরা যাদের ইতোপূর্বে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছিল কিন্তু এখনো সংশোধন করেননি, তাদেরকে আবারও সতর্ক করার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বলা হয়।

দরগাবাজার এলাকার বাসিন্দা সাদেক মিয়া বলেন, ‘যে যার মতো প্রচারণা চালাচ্ছেন। কেউ কোনো আইন মানছেন না। নিজ ইচ্ছামতো প্রচারণা চালাচ্ছেন। ছায়াদানকারী বৃক্ষও বাদ যাচ্ছে না। প্রশাসন নামমাত্র জরিমানা করছে। এতে আশকারা পাচ্ছে প্রার্থীরা।’

হিনাইনগর এলাকার কাদের মিয়া বলেন, ‘গাছেরও জীবন আছে, এ কথা আমলে নিয়ে প্রকৃতির ও মানুষের সম্পৃক্ততা বজায় রেখে গাছের ক্ষতি সাধন থেকে বিরত থাকা এবং পরিবেশ রক্ষার্থে গাছকে নির্বাচনে ব্যবহার না করাটা সবার নৈতিক দায়িত্ব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ব্যানার ও পোস্টারগুলো সরানোর চেষ্টা করছি।’

বিএনপির প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘একদিকে পোস্টার লাগতেছে, অন্যদিকে ছিড়ে পড়ছে কুয়াশার কারণে।’

এ বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী মো. সাইদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন বলেন, ‘আমরা দুই বার জরিমানা করেছি। এরপরও কেউ যদি না সরায়, তাহলে আবার অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com