সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। আগামী ২৫ অথবা ২৬ মার্চ তিনি ঢাকায় আসতে পারেন। এক্ষেত্রে ২৭ মার্চ ঢাকায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হতে পারে।
রবিবার ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এসব তথ্য।
গত বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে নয়া দিল্লিতে যান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে তারা বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব জানান, মার্চ মাসে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের আগে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র, পানিসম্পদ, বাণিজ্য ও নৌপরিবহন সচিবদের বৈঠক হবে। এর মধ্যে পানিসম্পদ সচিবদের বৈঠক দিল্লিতে আর বাকি তিনটি বৈঠক হবে ঢাকায়।
পররাষ্ট্র সচিব তার দিল্লি সফর বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিল্লি সফরকালে পানিবন্টন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তিস্তা নদীর পানিচুক্তি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আমাদের মধ্যে হতাশা রয়েছে। তবে এ চুক্তির জন্য আমরা আশাবাদী।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পর রাখাইনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমরা ভারতকেও আশা করছি। আমরা দিল্লিতে আলোচনা বলেছি।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ফেব্রুয়ারির শেষে ঢাকায় আসতে পারেন বলেও জানান পররাষ্ট্র সচিব।
মাসুদ বিন মোমেন জানান, বাংলাদেশকে করোনার টিকা উপহার দেয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে যে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- সেটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছেন তিনি।
মোদির সফর কেবল উদযাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না মন্তব্য করে মোমেন বলেন, ‘তার সফরে মুজিবনগর থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত স্বাধীনতা সড়ক, ফেনী সেতু এবং মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন হতে পারে। এই বাইরে সফর ঘিরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ পাঁচ-ছয়টি সমঝোতা স্মারক আলোচনার টেবিলে রয়েছে।’
গত বছরের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে মুজিববর্ষ উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ছিলেন আমন্ত্রিত। করোনা মহামারির কারণে ওই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। বিদেশি অতিথিরাও আর আসেননি। গত ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল বৈঠকে যুক্ত হয়েছিলেন প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।