শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

সিলেটে দেশের ২৮তম ‘গ্যাসক্ষেত্রের’ সন্ধান

সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের জকিগঞ্জে অনুসন্ধান কূপে দারুণভাবে সফলতার আলামত দেখছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। বাংলাদেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি।

কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ছয় হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি)। আর ১৩ হাজারের অধিক পিএসআই ফ্লোটিং চাপ রয়েছে। প্রথম একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট চারটি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স। নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ উপজেলা।

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, “এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা ভালো কিছু আশা করছি। অনেক সময় পকেট থাকতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আগে বললে সেটি সঠিক নাও হতে পারে।”

সম্প্রতি একটি সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান ওই ফিল্ডটি সম্পর্কে বলেছিলেন, “আমরা নতুন একটি ফিল্ডে সফল হতে চলেছি। সেখানে কূপের প্রেশার ৬০ হাজারের অধিক রয়েছে। পরীক্ষা চলছে এটি আমাদের জন্য দারুণ সুখবর হতে পারে। আশা করছি খুব শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব।”

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক চার টিসিএফ, আরও ছয় টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র তিন টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরও সাত টিএসএফের মতো।

১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতি বছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় এক টিসিএফের মতো। এর মধ্যে দেশীয় কোম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) সক্ষমতা রয়েছে এক হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে এক হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি দুই হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলায় এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com