রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

দেশের সম্পদ বেচে মুজিবের মেয়ে ক্ষমতায় আসে না: প্রধানমন্ত্রী

তরফ নিউজ ডেস্ক: ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রিতে বাধ সাধায় ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারেনি জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সম্পদ না বেচায় যদি ক্ষমতায় না আসি, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। শেখ মুজিবের মেয়ে কখনও দেশের সম্পদ বেঁচে ক্ষমতায় আসে না। ‘

শুক্রবার পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন শেখ হাসিনা। এর আগে সুধী সমাবেশে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এদিন দুপুর ৩টা ৫৩ মিনিটে মঞ্চে উঠেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্য শুরু করেন ৫টা ৮ মিনিটে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সম্পদ বিক্রি করে দেশের উন্নয়ন আওয়ামী লীগ চায় না। এই পদ্মা সেতু নির্মাণে অনেক দুর্যোগ এসেছে। এই সেতু নির্মাণে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। যারা বেচে নেই আমি তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। যারা এখানে জমি দিয়েছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই। সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর জন্য এ অনুষ্ঠান।’

শেখ হাসিনা বলেন, যখন ক্ষমতা ছিল না, বিদেশে গেছি বাংলাদেশের নাম শুনলে কেউ জিজ্ঞাসা করত, এটা কি ভারতের কোনো অংশ? এদেশে তো শুধু ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে। মিসকিন হিসেবে আমাদেরকে হিসেব করা হতো। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট, ব্যথার ছিল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আর সেই স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা থাকবে না, আমরা মাথা তুলে কথা বলতে পারবো না, আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ থাকবে না, এটা কি ধরনের বাংলাদেশ?

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘একটা ব্যাংকের এমডির পদের জন্য একজন নোবেলজয়ী এত লালায়িত কেন, সেই প্রশ্নের উত্তর আজও পেলাম না৷ হুমকি দেওয়া হয়েছিল, এমডি পদ না থাকলে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে,

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো মার্কিনির কথা শুনব না৷ দেখাও করব না৷ বলে দিয়েছিলাম তাদের৷ এমডি পদে থাকতে পারল না বলে হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে সেতুর টাকা বন্ধ করল৷ মালয়েশিয়া সরকার পদ্মা সেতুতে টাকা দিতে চেয়েছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় করেছি এটা৷’

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ায় শুক্রবার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সেতু বিভাগ। পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে এ সমাপনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের আয়োজন। একই মাঠে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এর আগে বিকেল ৩টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন।

সুধী সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার সুধীজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন। এরপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সভাপতির বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে গত ৩ জুলাই পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে হাতে নেওয়া কার্যক্রমগুলোর ব্যয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে করার অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সেখান থেকে জানা যায়, এ অনুষ্ঠানের বাজেট পাঁচ কোটি টাকার ওপরে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com