সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বানিয়াচংয়ে অগ্রণী এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) থেকে : বানিয়াচং নতুনবাজারের রুবেল ম্যানসনের ২য় তলায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় পল্লী বিদ্যুতের বিল জমা নিলেও মাসের পর মাস ফেলে রেখে এই বিল বিদ্যুত অফিসের জমা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন শতশত গ্রাহক। বিল জমা না দেয়ার ফলে গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হচ্ছে। আসছে বাড়তি বিল।

জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং নিয়ে কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে এই শাখাটি। স্থানীয় একটি ব্যাংকে গিয়ে বিল দেয়ার জক্কি জামেলা ও দীর্ঘ লাইন থাকে বিধায় অত্র অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এই বাড়তি টাকা দিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে তাদের বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে আসেন। ইদানিং এই ব্যাংকে গ্রাহকের জমা দেয়া বিল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা না হওয়ায় চলতি মাসের বিলের সাথে বকেয়া হিসেবে বাড়তি বিল আসছে। আবার সেই বিল পরিশোধ না করায় তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে পল্লীবিদ্যুত কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার অগ্রণী এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় গিয়ে দেখা যায় গ্রাহকের নানা অভিযোগ। মহব্বতখানীর গ্রাহক মতিউর রহমান (হিসাব নং ৯৮০/১১১৮) জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসের সমুদয় বিল আমি তাদের মাধ্যমে জমা দিয়েছি। কিন্ত এই বিলের টাকা চলতি মাসের বিলের সাথে যোগ করে বিল দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। মার্চ মাসের বিলের কপি পল্লী বিদ্যুতের অফিসে নিয়ে গেলে তারা এই বিল জমা হয়নি বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে অগ্রণী ব্যাংকিংয়ে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। একই ধরণের অভিযোগ জানিয়েছেন দোয়াখানীর রাসেল মিয়া (হিসাব নং-৯৪৪/১৬১৬),যাত্রাপাশার গিয়াস উদ্দিন (হিসাব নং-৯৬২/৬০৬৬)। অন্যদিকে পাঁড়াগাও মহল্লার আব্দুস সহিদ (হিসাব নং-৯৪৩/৩০০০) জানান,তার এক বিল বাকী থাকতেই তার ঘরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। অথচ আমার এই বিল জমা দেয়া। বিলের কপিও আছে। এখন পুণ:সংযোগ নিতে আমাকে বাড়তি ১২০০ টাকা গুণতে হচ্ছে শুধু মাত্র অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে। এই রকম প্রতিদিনই শতশত গ্রাহক এই অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এসে অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে রীতিমতো যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছেন। কথা বলছেন উচ্চবাচ্য সুরে।

এই বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের দুয়ার ব্যাংকিং বানিয়াচং শাখার এজেন্ট ইকবাল হোসাইনের মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। বানিয়াচং পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী আমজাদ হোসাইন জানান,এই রকম শতশত অভিযোগ নিয়ে গ্রাহক প্রায়ই আমার কাছে আসছে। আমরা অচিরেই এই অগ্রণী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং শাখার কার্যক্রম বন্ধ করতে যাচ্ছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com