শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবলে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনায় তিনশত লোককে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার এসআই কবির হোসেন বাদী হয়ে ৬৫ জনের নাম উল্লেখসহ ২ শত ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বাহুবল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ পর্যন্ত উক্ত মামলায় ৫ সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার যশপাল গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন (২৬), তিতারকোণা গ্রামের খুর্শেদ আলীর ছেলে শাহ আলম (২৭), সুতীন লাল টিলা গ্রামের ছুরুক মিয়ার ছেলে ফজর আলী (৪০), ভৈরবীকোনা গ্রামের অনু মিয়ার ছেলে শফিক মিযা (২৬) ও কর্মবাদ গ্রামের খুর্শেদ আলমের ছেলে আশিক মিয়া (২৬)।
উল্লেখ, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বাহুবল এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে জোড়ালোভাবে বাঁধা দিয়ে আসছিল হাইওয়ে থানা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মিরপুর বাজারের বিশ্বরোড পয়েন্টে একটি সিএনজি অটোরিক্সাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাচ্ছিল হাইওয়ে পুলিশ। সিএনজি অটোরিক্সা আটকের খবরটি মুহুর্তেই স্থানীয় শ্রমিকদের মধ্যে জানাজানি হলে শ্রকিকরা জড়ো হয়ে পুলিশের কাছ থেকে সিএনজি অটোরিক্সা ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে শ্রমিক ও পুলিশ মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৭ পুলিশ সদস্য সহ অন্ততঃ ২০ জন আহত হন। এক পর্যাায়ে হাইওয়ে পুলিশ ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আহতদের চিকিৎসা নিতে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে যায়।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি লিয়াকত হোসেন, এসআই মাসুক মিয়া, এএসআই হাবিবুর রহমান, কনষ্টেবল মো: রিফাত, আমিনুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নিশান কান্ত দেবকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত ৫ শ্রমিককে উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকী আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।