শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

১৭টি স্পটে মাদকের ভাসমান হাট, ক্রেতা-বিক্রেতা উঠতি বয়সী তরুণ

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) : বানিয়াচংয়ের সদরের মধ্যে ১৭টি স্পটে মাদকের ভাসমান হাট রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। আর এই মাদক ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকেই উঠতি বয়সী তরুণ, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ রয়েছে প্রভাবশালী দলের নেতারাও।

প্রকাশ্য দিবালোকে মাদকের হাট অবশ্য নতুন কিছু নয়। তবে আশ্চর্য লাগে যখন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ফল অভিযানে শুধু মাত্র চুনোপুটিদের ধরা হয়। আর অধরা থেকে যায় রাঘববোয়ালরা।

বানিয়াচংয়ে ভাসমান মাদকের হাটের মধ্যে রয়েছে-বানিয়াচং বড়বাজারের বাসস্ট্যান্ড, ডাক্তার জমির আলী মার্কেটের পিছন, কামালখানী রাস্তার জীপ স্ট্যান্ড, আদর্শ বাজারের নৌকা ঘাট, রঘু চৌধুরীপাড়ার ভূমি অফিসের মোড়, নতুন বাজার থেকে বড়বাজার যেতে টাম্বুলীটুলার স মিল, এলাড়িয়ার মাঠে পশ্চিমের রাস্তার মোড়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তার পয়েন্ট, সাগরদিঘীর দক্ষিণপাড়, জনাব আলী সরকারি কলেজের পিছন, ছিলাপাঞ্জার মোড়, ঠাকুরাইন দিঘীর পাড় সংলগ্ন বানেশ্বর বিশ্বাসের পাড়ার ব্রিজ,  নতুনবাজার বড়বাজার রোডের বাংলালিংক টাওয়ারের কাছে, মাদানি ম্যানসনের উত্তরে, খাদ্য গুদামের পিছন, মহিলা কলেজ রোডের কয়েকটি চায়ের দোকান, নতুন বাজার পশ্চিমের স্ট্যান্ড, কুন্ডুরপাড়ের ব্রিজসহ আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় ভাসমান অবস্থায় মাদক কেনাবেচা হয়।

এসব স্পটে প্রকাশ্যেই পথচারীদের ডেকে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের মাদক। এসব জায়গাতে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, হুইস্কি, বিয়ারসহ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট দেদারছে নিয়ে আসছে ব্যবসায়ীরা। হাত বাড়ালেই মিলছে এসব। এমনকি রাস্তার দুই পাশে ছোটছোট চায়ের দোকানে বিক্রি হচ্ছে মরণনেশা মাদক।

মাদক বিক্রির অভিযোগে কেউ কেউ গ্রেফতার হলেও কিছু দিন পর আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে এসে আবার মাদক বিক্রিতে জড়িয়ে পড়ছে। সারাদেশে মাদকের বিষাক্ত ছোবল শেষ করে দিচ্ছে তারুণ্যের শক্তি ও সম্ভাবনা। শুধু বানিয়াচং সদরে ই নয় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে এই মরণব্যাধি মাদক। তাই এই মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজ তথা তরুণদের রক্ষা করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাদক নির্মুলে অভিযান পরিচালনা করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতনমহল।

সাদা পোশাকে নজরদারি বাড়ালেই এদেরকে আটক করা সম্ভব হবে বলেও জানান তারা। নইলে এর করালগ্রাসে হারিয়ে যাবে হাজারে তরুণের আগামীর স্বপ্ন। আবার অনেকেরই মত, মাদকের গ্রাস থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে শুধু পুলিশি তৎপরতা নয় প্রয়োজন পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষা।

এই বিষয় নিয়ে কথা হয় বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জন কুমার সামন্ত’র সাথে। তিনি জানান, এই স্পটগুলোর কথা আমার জানা ছিলনা, তবে মাদক ব্যবসায়ীরা যতই শক্তিশালী হোক, আমাদরে পুলিশের তৎপর রয়েছে মাদকের বিরুদ্ধে। মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবীদের কোনো ভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা সে যতই প্রভাবশালী হোক। তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com