সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু: গিনেজ প্রতিনিধিদলের সন্তোষ

তরফ নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে গিনেজ বুক রেকর্ডে স্থান পেতে এখন কেবলই সময়ের অপেক্ষা।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) গিনেজ প্রতিনিধিদল বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামের শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু মাঠ পরিদর্শন শেষে এমনই আশার কথা জানালেন।

পরিদর্শনে তারা সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি জানিয়েছেন, তিন দিনের মধ্যে তারা পরিদর্শন রিপোর্ট জমা দেবেন গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের কাছে। সেখান থেকে আগামী সপ্তাহেই ইতিবাচক সাঁড়া পাওয়ার সম্ভবনা আছে।

কৃষি জমিকে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করে দুই প্রজাতির ধানের সুপরিকল্পিত ও শৈল্পিক চাষের মাধ্যমে বঙ্গন্ধুর ছবি আঁকার উদ্যোগ নেওয়া হয় এই গ্রামের মাঠে। এর ফলে ১০০ বিঘা জমিতে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। ইতোমধ্যেই সবুজ আর বেগুনি ধানের চারায় মঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এবং দর্শনার্থীদের তা বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে।

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ এই প্রতিকৃতি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে সহযোগিতা দিচ্ছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার।

গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধি হিসেবে বালেন্দা গ্রামের শস্যচিত্র পরিদর্শন করেন শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ও অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সদস্য সচিব কে এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সাংসদ হাবিবর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র চন্দ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ ও অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, গিনেজ বুক রেকর্ডের জন্য যে নির্দেশিকা প্রদান করা হয়েছিল মালেন্দা গ্রামে তা অনুসরণ করেই শস্যচিত্র ফুটে তোলা হয়েছে।

এখানকার আয়তন, শস্যের ঘনত্ব সব কিছুই সন্তাষজনক। ফলে আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। তার আগে আগামী তিনদিনের মধ্যে তারা এই পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবেন বলেও উল্লেখ করেন তারা।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান, চারা থেকে শীষ আসবে, ধান হবে, ধান পাকবে আর প্রতিটি ধাপেই তৈরি হবে বঙ্গবন্ধুর একেক ধরনের পোট্রেট। ১০০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ভিন্নরকম এই চিত্রকর্মের উদ্দেশ্য গিনেজ বুক রেকর্ড করা। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেরর তথ্য অনুযায়ী সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র ২০১৯ সালে চীনে তৈরি করা হয়, যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। বাংলাদেশের শস্যচিত্রের আয়তন হবে প্রায় ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট বা ১ লাখ ২০ হাজার বর্গমিটার। শস্য চিত্রটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার ও প্রস্থ ৩০০ মিটার। ১৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে নতুন এই বিশ্বরেকর্ড অর্জন উদযাপন করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তারা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com