শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘের ২ জন বিশেষজ্ঞকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫১ মিলিশিয়া সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালে দেশটির কাসাই অঞ্চলে সুইডিশ-চিলিয়ান নাগরিক জাইদা কাতালান ও মার্কিন নাগরিক মাইকেল শার্পকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়। সরকারি বাহিনী ও মিলিশিয়া দলের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর তারা ২ জন একটি কথিত গণকবরের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন।
তাদের দোভাষী বেটু তিন্তেলাও নিহত হন। অপহরণের ১৬ দিন পর তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। ২০১৭ সালে শেষ হওয়া কাসাইয়ের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। এই যুদ্ধের ফলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। ২০১৬ সালের আগস্টে কাসাইয়ের ঐতিহ্যবাহী নেতা কামউইনা সাপুকে হত্যার পর এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
আজ রোববার একটি সামরিক আদালত ৪ বছরের বিচার কার্যক্রমের শেষে এই রায় দিয়েছেন।
৫১ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির প্রায় সবাই মিলিশিয়ার সদস্য। তবে কঙ্গোতে সম্প্রতি শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ধরে নেওয়া যায়, তারা মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করবেন।
সংবাদ সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড, অঙ্গচ্ছেদের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ সংঘটন ও সন্ত্রাসের অভিযোগসহ আরও বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছিল।
অভিযুক্তদের মধ্যে কর্নেল জঁ দে দ্যু মাম্বেনি ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন। একজন সাংবাদিক ও একজন পুলিশ সদস্য বেকসুর খালাস পেয়েছেন।