বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

শ্রীমঙ্গলে বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পাত্রিকুল গ্রাম থেকে বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) উপজেলার পশ্চিম পাত্রিকুল গ্রাম থেকে বিষধর সাপটি উদ্ধার করা হয়।

বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান, সাপটি পাত্রিকুল গ্রামের কুতুব মিয়ার বাড়িতে একটি বসতঘরে ঢুকে পড়ে। আতংকিত লোকজন সাপটিকে না মেরে পরে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে খবর দিলে আমরা গিয়ে সেটি উদ্ধার করি। বর্তমানে সাপটি সুস্থ আছে। সুবিধাজনক সময়ে অবমুক্ত করা হবে।

প্রাণি বিশেষজ্ঞদের তথ্য মতে, এই সাপ যে এলাকায় থাকায় থাকে সেখানে অন্য সাপ থাকে না কারণ সে অন্য সাপকে খেয়ে ফেলে। বিশ্বে বিষধর সাপের মধ্যে অন্যতম এই সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড নেই।

নিউরোটক্সিন বিষ সংবলিত শঙ্খিনী সাপকে এলাকা বিশেষে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন শাখামুটি, সানি সাপ (খুলনা অঞ্চলে), দুইমাথা সাপ ইত্যাদি। এর ইংরেজি নাম Banded Krait, বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus fasciatus। এই সাপদের দৈর্ঘ্য ৬ থেকে ৭ ফুট হয়ে থাকে।

গ্রাম এলাকায় এদের দুমুখো সাপও বলে তবে সেটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এ সাপের লেজের অংশটি ভোঁতা থাকে বলে অনেকেই একে দুমুখো সাপ বলে ভুল করে। এরা নিশাচর। ইঁদুরের গর্ত, ইটের স্তূপ এবং উইয়ের ঢিবিতে এরা থাকতে পছন্দ করে। অন্যান্য সাপ এদের ভয়ে পালিয়ে যায়। আইইউসিএন এই সাপকে বাংলাদেশে বিপন্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণি বিশেষজ্ঞ ড. মনিরুল এইচ খান জানান, অন্যান্য সাপের মতো এই সাপও কমছে। কারণ মানুষ নির্বিচারে সাপ হত্যা করছে। মানুষের কারণে সাপের বাসস্থান বিপন্ন হচ্ছে দ্রুত। যেহেতু এই সাপ অন্য সাপকে খেয়ে ফেলে তাই প্রাকৃতিকভাবেই এই সাপ পরিবেশে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা রাখে। সাপ পেলে না মেরে উদ্ধারকারী দলকে খবর দেওয়া হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com