শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : নাটোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) গোলামুর রহমানের বিরুদ্ধে এক নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে গত ২৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন ওই নারী ম্যাজিস্ট্রেট।
গত ২ নভেম্বর ওই নারী ম্যাজিস্ট্রেট নাটোর থেকে বদলি হয়ে চলে যাওয়ায় যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি গোপন ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই নারী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযোগপত্রটি স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে এসে পৌঁছায়।
অভিযোগপত্রে ওই নারী ম্যাজিস্ট্রেট উল্লেখ করেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর নাটোরের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন গোলামুর রহমান। তিনি যোগদানের পর প্রথমে ওই নারী ম্যাজিস্ট্রেককে সাধারণ শাখা ও ট্রেজারি শাখা থেকে সংস্থাপন শাখায় বদলি করেন। পরে জেলা প্রশাসক সংস্থাপন শাখায় রক্ষিত সব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি নিয়ে তার সঙ্গে ওই নারীকে একান্তে বসে কথা বলতে বলেন। এমনকি রাতে বাংলো (যেখানে ডিসি একা থাকেন) অথবা সার্কিট হাউসে আসতে বলেন। তবে নারী ম্যাজিস্ট্রেট তার এ প্রস্তাব ফিরে দেন। পরে ডিসি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই নারীর ম্যাসেঞ্জার ও মুঠোফোনে কু-প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া মাঝে-মধ্যে কাজের কথা বলে গভীর রাতে কল দিয়ে আপত্তিকর কথা বলেন ডিসি।
নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে নাটোরের ডিসি গোলামুর রহমান জানান, ফেসবুক আইডি হ্যাকড করে কেউ এ কাজ করতে পারে।
ফেসবুক আইডি হ্যাকড হওয়ার পর কেন আইনি ব্যবস্থা নেননি-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তর দেননি ডিসি।
এ ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নাটোরের দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও দিঘাপতিয়া এমকে কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছেই যদি নিরাপত্তা না পাওয়া যায়, তাহলে নিরাপত্তা প্রাপ্তির জায়গা কোথায় পাব?’
সূত্র : আমাদের সময়