শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন

বানিয়াচংয়ে বেড়েছে লাল সবুজের পতাকা বিক্রি

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) : বিজয় দিবস কিংবা যে কোনো উৎসবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে আমাদের জাতীয় পতাকা। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির জাতীয় জীবনে সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন। শুধু উৎসবের দিনেই নয়, শোকের দিনেও জাতীয় পতাকার সর্বব্যাপী ব্যবহার হয়ে থাকে। ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস। এই দুটি দিনকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও বানিয়াচংয়ের পথে-ঘাটে ছোটখাটো বিভিন্ন দোকানে কিংবা ফেরি করে পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে।

এবারও ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই বানিয়াচংয়ে ছোট-বড় রাস্তা ও পাড়া-মহল্লায় মৌসুমি ফেরিওয়ালারা পতাকা বিক্রি শুরু করছেন। এদের বেশিরভাগই ঢাকার আশপাশের ভাসমান পেশাজীবী শ্রেণির মানুষ। তেমনি একজন পতাকা বিক্রেতা মো: শহিদুল ইসলাম। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তিনি জানান, বছরের অন্যান্য সময় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করি।

কোনো দিবস এলেই কয়েকদিন আগ থেকে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে পতাকা বিক্রি করেন শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বেচাকেনা এখনও জমে ওঠেনি। তবে দু-একদিনের মধ্যে পুরোদমে বিক্রির ধুম পড়বে। বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে পতাকা বিক্রিকালে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় শহিদুলের। তিনি জানান, ৬ ফুট বাই সাড়ে ৩ ফুট একটি পতাকা বিক্রি করেন ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিটি ১ ফুট স্টিক পতাকার দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা। ৫ ফুট বাই ৩ ফুট পতাকার দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। হাত ও মাথার ব্যান্ড ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করেন।

অন্যদিকে, আরেক ক্ষুদে পতাকা বিক্রেতা বানিয়াচং কামালখানির ছাবু মিয়ার স্কুলপড়ূয়া ছেলে মোসাদ্দেক মিয়া। সে বলে, ‘আমি কোনো সবসময় পতাকা বেচি না (বিক্রি করিনা) আমার আব্বায় আমারে আইন্না দিছইন এটা বেচার লাইগগা। (আমার বাবায় আমারে বিক্রির জন্য এটা এনে দিছেন)।’ বিক্রি কেমন হয় তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, তিনদিন ধইরা বেচি (৩ি দন ধরে বিক্রি করি) দিনে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকার বিক্রি হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com