বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

লাকসামে ঔষধ সিন্ডিকেট বেপরোয়া, ধর্মঘটে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষ

আরিফুর রহমান স্বপন, কুমিল্লা: কুমিল্লার লাকসামে ঔধষ ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঔষধ ব্যবসায়ীরা অযাচিত ভাবে ঔষধের মূল্যবৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এনিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক লেখালেখি হচ্ছে ঔষধ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। পৌর করের নাম ভাঙ্গিয়ে ঔষধের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দিচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। ফলে এ বিষয়ে অনেকে অভিযোগ করেছেন পৌর মেয়রের কাছে। পৌর করের বিষয়ে এমন মিথ্যে অজুহাত দেখানোয় পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ হাসান আহমেদকে মুটো ফোনে পৌর করের নাম ভাঙ্গিয়ে ঔষধের মূল্য বৃদ্ধি এবং মিথ্যে অজুহাতের প্রতিবাদ করায় ঔষধ সিন্ডিকেটের নেতারা বুধবার অর্ধবেলা ধর্মঘট পালন করেছে লাকসামে।

বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির লাকসাম উপজেলা শাখার নির্দেশে বুধবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলে।

জানা যায়, সম্প্রতি লাকসামে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে ঔষধ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির লাকসাম উপজেলা শাখা। সমিতির অযৌক্তিক এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতাসাধারণ। পৌর নাগরিকদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে মুঠোফোনে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির লাকসাম উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান আহমেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান পৌর মেয়র অধ্যাপক মোঃ আবুল খায়ের। জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত বাতিলের অনুরোধ করেন তিনি। পৌর মেয়র ফোন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপর অকথ্য গালিগালাজের অভিযোগ এনে বুধবার অর্ধবেলা ধর্মঘট পালনে ঔষধ ব্যবসায়ীদের বাধ্য করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় ঔষধ ক্রেতাদের। এতে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা এ অযৌক্তিক ধর্মঘটের তীব্র নিন্দাও জানান।

এদিকে বুধবার বিকেলে মুজিববর্ষ উপলক্ষে পৌরসভায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পৌর মেয়র অধ্যাপক মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ‘পৌরসভার বেশ কয়েকজন নাগরিক আমাকে সরাসরি মোবাইল ফোনে কল করে প্রশ্ন করেছেন ঔষধের উপর আমরা কর আরোপ করেছি কিনা। হঠাৎ করে ঔষধের মূল্যবৃদ্ধির কারণ কি? আমি এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসানকে জিজ্ঞেস করি এবং জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে ঔষধ বিক্রির সিদ্ধান্ত বাতিলের অনুরোধ করি। পরক্ষণে জানতে পারলাম আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ এনে তারা ধর্মঘট করেছে। মোবাইল ফোনে মাত্র দেড় মিনিটের আলাপে যদি আমার কোনো কথা তার খারাপ লেগে থাকে, সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে না ফেলে আমাকে বিচারের সম্মুখীন করতে পারতো। আমি তাদের অযৌক্তিক ধর্মঘটের তীব্র নিন্দা জানাই।

এ বিষয়ে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবারক উল্লাহ কায়েস বলেন, ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে ঔষধ বিক্রি এবং ব্যক্তি বিশেষের উপর অভিযোগ এনে অযৌক্তিক ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্তে আমি অবগত নই। জনভোগান্তি মূলক কোনো সিদ্ধান্তকে ব্যবসায়ী সমিতি সমর্থন করে না।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com