শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

করোনায় বন্দি মানুষের পাশে একুশে পরিবার

শফিকুল ইসলাম রুম্মন, মৌলভীবাজার: “নিশ্চয় কেটে যাবে এ করোনা কাল, আবার আসবে নতুন সকাল” এই প্রত্যাশায় মৌলভীবাজারে একুশে পরিবার ব্যাতিক্রমী উদ্যোগে পালন করেছে একুশের একুশতম জন্মদিন।

বিশ্বব্যাপী করোনার ভয়াল থাবায় যখন মানুষ ঘর বন্দি, দুশ্চিন্তা গ্রস্থ। এ থেকে বাঁচতে ও তাদের মনে স্বস্তির বার্তা দিতে একুশে মৌলভীবাজার পরিবার তৃণমুলের মানুষকে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ প্রদান এবং ঘরে ঘরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ও ঔষধ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ সময় একুশে পরিবারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রান্থিক জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহায়তাও করা হয়।

একুশের আহবানে ঘরে ঘরে সচেতনতা তৈরীতে এগিয়ে আসেন র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প কমান্ডার মো: আনোয়ার হোসেন শামীম। আর মঙ্গলবার দিন ব্যাপী স্বাস্থ্য সেবা ও ঔষধ বিতরণে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের প্রাক্তন পরিচালক ও শ্রীমঙ্গল বিএমএ এর সভাপতি ডা. হরিপদ রায়।

এ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন একুশে টেলিভিশনের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি বিকুল চক্রবর্তী ও একুশে মৌলভীবাজার পরিবারের সদস্য বিষ্ণুপদ ধর। এ ছাড়াও পৃথক পৃথক সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন একুশে মৌলভীবাজার পরিবারের সদস্য শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার, বিধান চক্রবর্তী, প্রদীপ মালাকার, সব্যসাচি পুরকায়স্থ, বর্ণ চক্রবর্তী, রিওয়ন আহমেদ ও কে এস এম আরিফুর রহমান প্রমুখ ৷

ডা: হরিপদ রায় বলেন, এই সময়ে গ্রামের অনেক কৃষিজীবি মানুষ রোদ বৃষ্টিতে কাজ করেন। তাই অনেক সময় তাদের জ্বর আসতে পারে। তাই জ্বরের প্রাথমিক লক্ষন দেখা দিলে তারা যাতে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ না হয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন তাই রোগের লক্ষনসহ চিকিৎসা পত্র ও ঔষধ প্রদান করেছেন। সাধারণ জ্বর হলে ৪/৫ দিনের মধ্যেই তা কমে যাবে। এই ঔষধ সেবনের সপ্তাহ অতিক্রম করার পরও জ্বর না কমলে তখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হবে।

একই সাথে র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প এর অধিনায়ক ঘরে ঘরে গিয়ে তৃণমুলের মানুষদেরকে অনুরোধ করেন কেউ যেন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে না যান। বাজারে গিয়ে আড্ডা না দেন। একক ভাবে নিজের বাড়ির পাশে টুকটাক কৃষি কাজ করেন ৷ সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত যেন সবাই ঘরে থাকেন। এ সময় তিনি এই করোনা যুদ্ধে ডাক্তার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে গণমাধ্যম কর্মীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান।

এ জন্য একুশে টেলিভিশনের জন্মদিনে দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, একুশে টেলিভিশন মানুষের জন্য সবসময় ব্যাতিক্রমী কিছু করে। আজকের এ করোনা কালে মানুষের পাশে দাড়ানোও তারই একটি অংশ।

বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, করোনা সচেতনতার পাশাপশি একুশে টিভি মৌলভীবাজার পরিবার অসহায় গৃহবন্ধি মানুষকে বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, তেল, লবন, আলু, পেয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রদান করে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com