বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নাম বাংলায় রূপান্তর করে বিদ্যমান আইন সংস্কার করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
সেই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের পদের নামও বাংলা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের খসড়া অনুমোদনের জন্য সোমবার নির্বাচন কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সোমবার বিকালে কমিশন সভা বসবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইসির উপ সচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত সভার নোটিসে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন পরিচালনার জন্য আইনের খসড়া উপস্থাপন ও অনুমোদন, চাঁদপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য নির্বাচন প্রসঙ্গ আলোচনার সূচি রয়েছে এদিন।
আইন সংস্কারের বিষয়ে মতামত নিতে গত জুলাই মাসে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন।
কমিশন তাদের প্রস্তাবে বলেছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিতে গিয়ে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ ইংরেজি নাম ও শব্দের উপস্থিতি ‘গোচরে’ এসেছে। সে কারণে এসব ‘নিষ্প্রয়োজনীয় ও বিজাতীয়’ নাম ও শব্দ বাংলা পরিভাষায় প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইসি প্রস্তাব করেছে-
>> ইউনিয়ন পরিষদ হবে পল্লী পরিষদ
>> সিটি করপোরেশন হবে মহানগর
>> পৌরসভা হবে নগরসভা
>> সিটি মেয়রের পদবি হবে মহানগর আধিকারিক বা মহানগরপতি
>> পৌর মেয়র হবে পুরাধ্যক্ষ বা নগরপতি
>> কাউন্সিলরকে বলা হবে পরিষদ সদস্য।
>> ওয়ার্ডকে বলা হবে মহল্লা
>> পল্লী, উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নাম হবে প্রধান
>> উপজেলা ও জেলা পরিষদের নাম অপরিবর্তনীয় রাখার প্রস্তাব রাখা হয়েছে
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলায় রূপান্তর ও পদের নাম পরিবর্তন নিয়ে অধিকাংশের মতামত এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিএনপি এ ধরনের উদ্যোগের সমালোচনা করেছে।
নির্বাচন কমিশনে পাঠানো চিঠিতে দলটি বলেছে- নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নামে ‘কমিশন’ ও পদবীতে ‘কমিশনার’ এর মত ইংরেজি শব্দ অক্ষুণ্ন রেখে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নাম-পদবীতে পরিবর্তন ‘অনৈতিক ও অপ্রয়োজনীয়’।
বিএনপির যুক্তি, দেশের সংবিধানে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্ট, কমিশন, কমিশনার ইত্যাদি এবং ইসির আইনে ভোটার, রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ অনেক ইংরেজি শব্দ বহাল রয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নামও বাংলা করা হয়নি।
চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, সিটি, করপোরেশন এর মত অনেক শব্দ বাংলা একাডেমির বাংলা অভিধানেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।